এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের চাবি পেয়ে গেল বিজেপি? শপথ নিয়ে সামনে এল বড় খবর

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের চাবি পেয়ে গেল বিজেপি? শপথ নিয়ে সামনে এল বড় খবর


গত 21 অক্টোবর মহারাষ্ট্রে হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির জোট শরিকদের মধ্যে ঘনিয়ে এসেছে বিচ্ছেদের কালো মেঘ। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি মহারাষ্ট্রে। বিজেপি শিবসেনা যৌথভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেরিয়েছে। আর তারপর থেকেই মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে তুমুল বিতর্ক। দুইজনের মধ্যে কে হবেন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর টালবাহানা। বিজেপি এবার শিবসেনাকে চাপে রাখতে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ।

মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে বিতর্ক একটা তিক্ততার জায়গায় এসে পৌঁছেছে। আর তারমধ্যেই এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেল বিজেপির পক্ষ থেকে। যদিও শিবসেনার সাথে বিজেপির এখনও পর্যন্ত সরকার গড়া নিয়ে কোনো রকম আলোচনা হয়নি। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিজেপির পরিষদীয় দল। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী 9 নভেম্বর মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন দেবেন্দ্র।

আগামী বুধবার 105 জন বিধায়কের উপস্থিতিতে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠক শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত প্রচার হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই প্রচার শুধুমাত্র শিবসেনাকে চাপে রাখার জন্যই করা হয়েছে। অন্যদিকে আরেকটি সূত্রের খবর, শিবসেনাকে বাদ দিয়ে বিজেপি এবার নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়তে চলেছে আগামী দিনে। পরিষদীয় দলের বৈঠকের নেতৃত্বে থাকছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং বিজেপির সহ-সভাপতি অবিনাশ রাই খান্না।

বিজেপি সূত্রের খবর, বুধবার মুম্বাইতে পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এবং তারপর শিবসেনার সাথে তাঁর বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু দলীয় তিক্ততার কারণেই সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, বিজেপি হচ্ছে মহারাষ্ট্রের একক বৃহত্তম দল। তাই সরকার গড়বে বিজেপি। এই বক্তব্য সামনে আসার সাথে সাথেই শিবসেনার মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। এবং তার জেরেই শিবসেনার পক্ষ থেকে এদিন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের জোট রাজনীতি এখন তুমুল বিতর্কের তুঙ্গে।

বিজেপি সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের সরকার গড়তে ইতিমধ্যে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছে নির্দল বিধায়করা। তাঁদের মধ্যে কিশোরদের জর্জেওয়ার, সূর্যশক্তি পার্টির নেতা এবং শাহওয়াদি কেন্দ্রের বিধায়ক বিনয় করে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এর সঙ্গে দেখা কোরে সমর্থন জানিয়ে দিয়েছেন। এর আগে গীতা জৈন নির্দল বিধায়ক হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সমর্থন জানিয়ে গেছেন।

জোট রাজনীতি নিয়ে এখন মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তাল। কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? এই নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। প্রথম থেকেই শিবসেনার দাবি ছিল ফিফটি-ফিফটি নীতির। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী কালে বিজেপি সেই নীতি নস্যাৎ করে দিয়েছে। আর তার ফলেই শিবসেনা শিবিরে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যে চাপানউতোর চলছে মহারাষ্ট্রে তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

 

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ যদি ফিফটি-ফিফটি দাবি মেনে করা হয়, তাহলে রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে প্রশাসন। আপাতত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিজেপির দাবি অব্যাহত। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, মহারাষ্ট্রে কি সরকার গঠনের চাবি হাতে এসে গেছে বিজেপির হাতে নাকি এ শুধুই শিবসেনাকে চাপে রাখার খেলা? আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!