এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চূড়ান্ত বিতর্কের মাঝেই ভারতে সংসদীয় কমিটির মুখোমুখি হচ্ছেন ফেসবুক প্রধান! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

চূড়ান্ত বিতর্কের মাঝেই ভারতে সংসদীয় কমিটির মুখোমুখি হচ্ছেন ফেসবুক প্রধান! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও বাম নেতারা যৌথভাবে এই ফেসবুক-বিজেপি আঁতাতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেই সময় এরই মধ্যে আবার ফেসবুকে বিজেপির রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনী প্রচারে খরচের অঙ্ক দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছিল। তবে সেই নিয়ে যে জল বেশ ঘোলা হয়েছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে। কারণ খবর পাওয়া গেছে, যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তা সামাল দিতে ভারতে সংসদীয় কমিটির মুখোমুখি হচ্ছেন ফেসবুক প্রধান।

সেই সময় খবর পাওয়া যায় যে, কংগ্রেস যেখানে ফেসবুক প্রচারাভিযানে মাত্র ১.৮৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। সেখানে বিজেপি নিজেদের প্রচারে ৪.৬১ কোটির বেশি টাকা খরচ করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। এরই সঙ্গে ভারত থেকে বিজ্ঞাপনী প্রচারে সর্বাধিক খরচ বহনকারীদের তালিকায় অন্য বিজ্ঞাপনদাতাদেরও বিজেপির সাথে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে ‘মাই ফার্স্ট ভোট ফর মোদী’ যাদের খরচ ১.৩৯ কোটি টাকা, ‘ভারত কে মন কি বাত’ যাদের খরচ ২.২৪ কোটি টাকা, সাংসদ আর কে সিনহার একটি ফেসবুক পেজ, যাদের খরচ ০.৬৫ কোটি টাকা এবং ‘নেশন উইথ নমো’ নামক একটি ওয়েবসাইট যাদের খরচ ১.২৮ কোটি বলে জানা যায়। এই খবর সামনে আসার পরই চোখ কপালে ওঠে বিরোধীদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফেসবুকের সঙ্গে বিজেপি যোগ ঘিরে যে বিতর্ক কয়েকদিন ধরে উঠছিল, তা নিয়ে বেশ সরব হন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান কংগ্রেস নেতা শশী থরুর। ফলে তারই নেতৃত্বাধীন সংসদীয় প্যানেলকে জবাব দিতে আসতে হবে ভারতে ফেসবুকের প্রধান অজিত মোহন। আর ফেসবুক ইন্ডিয়ার অন্যতম এক্সিকিউটিভ আঁখি দাস এই গোটা বিষয়টির কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া প্যানেলের তরফে ইলেকট্রনিক্স অ্যন্ড ইনফরমেশন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদেরও ডেকে পাঠানো হয় বলেই জানা গেছে। মূলত নাগরিকদের বিষয়ে বা নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ফেসবুক ইন্ডিয়া কী ভাবছে বা ডিজিটাল দুনিয়ায় মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে কিভাবে দেখা হচ্ছে এইসব বিষয়েই সংসদীয় প্যানেল জানতে চায় বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কিছুদিন আগে বলা হয়েছিল যে, বিজেপির বিধায়ক টি রাজা সিংকে সম্প্রতি হিংসা আর ঘৃণা ছড়ানো নিয়ে ফেসবুক কোনো কথাই বলছে না। তাই ফেসবুক বিজেপির নীতিকে সমর্থন করে বলেই দলের বিধায়ক টি রাজা সিংকে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার পরেও ফেসবুক থেকে ব্যান করা হচ্ছে না। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কংগ্রেস আর দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলো ফেসবুক আর বিজেপি সরকারের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে। পরে বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংকে হিংসা আর ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ফেসবুকের নিয়ম লঙ্ঘন করায় ব্যান করা হয়েছে বলে জানানা হয়। শুধু ফেসবুক নয়, তাঁর ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্টও ব্যান করে ফেসবুক। তবে শেষমেশ ফেসবুক প্রধানের বিবৃতি দিয়েই ঘটনার ইতি টানার এই চেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!