প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ সকালে তৃণমূলের ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করে সিবিআই। যাদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র , প্রাক্তন বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। একসঙ্গে চার জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এরপর সিবিআই তলব করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেও।

নারদ কাণ্ডে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করার পর তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কেও নিজাম প্যালেস এর সিবিআই দপ্তরে তলব করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তাঁকে। তৃণমূল নেত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন তাঁকে তলব করেছে সিবিআই? তা তিনি জানেন না। তিনি জানিয়েছেন, কেন তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তবে, নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হয়েছেন তিনি।

সিবিআইয়ের দিল্লির দপ্তরের সবুজ সঙ্কেত মেলার পর আজ এই পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই। আজ নারদ কান্ডের প্রথম চার্জশিট প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই চার্জসিটে এই চার হেভিওয়েট এর নাম থাকার এক বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। স্থানে স্থানে অবরোধ ও বিক্ষোভ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন এর বিধি ভঙ্গ করেও ঘটছে জমায়েত।

সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে দানবীক শক্তিকে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভোটের পর করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রয়োজন, কিন্তু কেন্দ্র থেকে অক্সিজেন, ওষুধ, ভ্যাকসিন কোন কিছুই রাজ্যকে দেয়া হচ্ছেনা। রাজ্যে লকডাউনের পরিস্থিতি চলছে। এই অবস্থায় কয়েক বছর আগের একটি মামলা নিয়ে তৎপর হলো সিবিআই। রাজ্যের পুর প্রশাসন ও মন্ত্রীরা যখন করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত, সেসময় মন্ত্রীদের গ্রেফতার করে পুরো সিস্টেমটাই নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই গ্রেপ্তারিকে বেআইনি বলে মন্তব্য করলেন তিনি।