শান্তিতে ভোট হোক এটাই একমাত্র কাম্য: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য April 27, 2018 গতকাল নানা টালবাহানার পরে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। বার বার বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন যে রাজ্যের শাসকদল রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নানা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি যে অশান্তি হয়নি সবটাই মিডিয়ার অপপ্রচার। তিনি যে রাজ্যে কোনোপ্রকার অশান্তি চান না তা আরও একবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, শান্তিতে ভোট হোক এটাই একমাত্র কাম্য। আর তার সাথেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে তাঁর আর্জি, ইস্তাহারে যেন কেউ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি না দেয়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে প্রসঙ্গত, বিজেপি কদিন আগেই তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে এবং সেখানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখাতে গিয়ে বাংলাদেশের ছবি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে, তার থেকেও বড় কথা বিজেপির ইস্তাহারে যেসব দাবি জানানো হয়েছে সেগুলি সাধারণত রাজ্য সরকারের কাজ। তাই মুখ্যমন্ত্রী কি ঘুরিয়ে বিজেপিকেই ‘বার্তা’ দিলেন, জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু পাল্টা বিরোধীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ‘শান্তিতে ভোট’ চাইলে কি করে একদফায় নির্বাচনের কথা ভাবছেন? কেননা পঞ্চায়েতে বুথ সংখ্যা হলো ৫৮,৪৬৭ আর রাজ্য পুলিশ হলো ৫৮,০০০। যার মধ্যে সশস্ত্র পুলিশ মাত্র ৪৬ হাজার বাকি হয় সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ড। আর তাই সব বুথে সশস্ত্রবাহিনী কিভাবে রাখা হবে – তাই নিয়ে উঠে গেছে প্রশ্ন। কিন্তু এদিন মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, সে দায়িত্ব রাজ্যের এবং রাজ্য তা যথাযথ ভাবেই পালন করবে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। একদিকে কারারক্ষী ও বনকর্মীদেরকেও ভোট করার কাজে লাগাতে চলেছে, অন্যদিকে প্রয়োজনে অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ এনে সামাল দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। ফলে, সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিই দিচ্ছেন রাজ্যবাসীকে। আপনার মতামত জানান -