এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > তৃণমূলকে ঠেকাতেই কি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি? সবটাই কি উদেশ্যপ্রনোদিত?

তৃণমূলকে ঠেকাতেই কি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি? সবটাই কি উদেশ্যপ্রনোদিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কয়লা কেলেঙ্কারি, গরু পাচার, চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সহ একাধিক দুর্নীতিমূলক কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডির তৎপরতা বাড়াতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ বারবার তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূলে দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। তৃণমূল সরকারকে বিপাকে ফেলার পরিকল্পনা চলছে। এবার এই ধরণের অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, যারা কংগ্রেসের শীর্ষে আছেন, তাঁদের গায়ে হাত দেয় না সিবিআই ও ইডি।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি যাতে কিছুতেই ক্ষমতায় আসতে না পারেন, এজন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি। যেকোনো ভাবে হোক হারাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ৩৪ বছর ধরে বাংলায় চলেছে সিপিএম রাজত্ব। অনেক অন্যায় করেছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কি সিবিআই, ইডি মামলা করেছে? কিছুই করেনি শুধুমাত্র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয়দের গায়ে কখনোই হাত দেয়নি সিবিআই ও ইডি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তৃণমূলের কে বাদ আছে? যে দল সব থেকে সৎ। সবথেকে নির্ভীকভাবে লড়াই করে যারা, তাদের সবাইকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। সৌগত রায়ের মত মানুষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও বাদ দেয়া হয়নি। ছেলে,মেয়ে, এমনকি বাড়ির কাজের লোকদের পর্যন্ত ডেকে পাঠানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, বিজেপি সবাইকে মেনে নিতে পারে, সবার সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিতে পারে, কিন্তু তারা জানেনা যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনোই মাথা নত করেন না, বোঝাপড়া কখনোই করেন না।

তাঁর বক্তব্যের পাল্টা জবাবে বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী জানালেন যে, বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কারো হিম্মত হয়নি সরকারের গায়ে কেলেঙ্কারির কালি লাগানোর। কালি লাগানো যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি দিয়ে, তদন্ত কমিশন দিয়ে কত কিছুই তো করেছিলেন, কিন্তু কিছু কি পেয়েছেন? তাঁর নিজের দলের নেতাদের নাম এত কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে আছে, তাঁর কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা উচিত।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন যে, বিরোধী ঐক্য যখন দানা বাঁধছে, তখন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে কি প্রমাণ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনি বিজেপির সুপারি নিয়েছেন, এ কারণেই লাগাতার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন। বিরোধী ঐক্য যখন জমাট হচ্ছে, তাদেরকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির আতঙ্ক যখন বাড়ছে, তখন সেই আতঙ্ক কাটিয়ে দেবার দায়িত্ব নিয়েছেন দিদি। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করছেন। আবার তাদেরকে তিনি অপরাধী বানাচ্ছেন। বিরোধী ঐক্যে যদি ফাটল ধরে, তবে লাভ বিজেপিরই হবে। ইতিহাস কখনোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা করবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!