প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এখন থেকেই ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে যেমন জাতীয় স্তরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপিকে চাপে ফেলা তৃণমূলের প্রধান উদ্দেশ্য, ঠিক তেমনই নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে তারা।

এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় যখন তৃণমূলের পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর সেই কারণেই সেই ত্রিপুরাতে সম্প্রতি তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য পৌঁছে গিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের টিমের 23 জন সদস্য। তবে তাদের যেভাবে আটক করে রেখেছে ত্রিপুরার বিজেপি প্রশাসন, তার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছিল ঘাসফুল শিবির। আর এবার গোটা ঘটনায় টুইট করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করার রাস্তায় হাঁটলো তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছিল। যেখানে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে “মোদীবাবু কাবু” বলে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের নেতা কর্মীরা টুইট করতে শুরু করেছিলেন। আর এবার সেই একই রাস্তায় হেঁটে ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে সেখানকার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে কটাক্ষ করতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। যেখানে যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে “বিপ্লববাবু আপনিও কাবু” এই ট্যাগ দিয়ে টুইটারে পোস্ট করা হচ্ছে। যাকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরাতে এবার যে ক্রমশ বিজেপির বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকদিনকার লক্ষ্য ত্রিপুরা দখল করা। কিন্তু চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আর তৃণমূল হাল ছাড়তে চাইছে না। পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতা দখল করার পর এখন বাইরে রাজ্যগুলোতে সংগঠনের বিস্তার করতে শুরু করেছে তারা। আর সেদিক থেকে তাদের যে অন্যতম প্রধান টার্গেট ত্রিপুরা, তা সক্রিয়তার মধ্য দিয়েই পরিষ্কার করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এই পরিস্থিতিতে আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়েছে এবং তাতে যে বিজেপি চাপে পড়েছে, তা ট্যুইটের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার করে দিল ঘাসফুল শিবির। যেখানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী কাবু হয়ে গিয়েছেন বলে নিজেদের টুইটে তুলে ধরার চেষ্টা করল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।