এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ‘ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ’! ধৃত আলকায়দা জঙ্গিদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপ থেকে বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য!

‘ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ’! ধৃত আলকায়দা জঙ্গিদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপ থেকে বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং কেরলের এনার্কুলাম থেকে আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট 9 জন ধরা পড়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে। তাঁদেরকে জেরা করে এবার উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত কয়েক দিন ধরে ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত অ্যাকাউন্ট তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছে এবং তা থেকে উঠে আসছে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের চেষ্টা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে ধৃতদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নজর দেওয়া হয়েছে।

যার নাম গাজওয়াতুল হিন্দ। আর সেখানেই গ্রুপের নাম হিসেবে রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ। জানা গেছে, কেরলের এনার্কুলাম থেকে আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত মোশারফ হোসেন এই গ্রুপের অন্যতম এডমিন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে আরোও জানা গিয়েছে, এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে স্থানীয় মানুষজনকে যুক্ত করে তাদের মগজ ধোলাই করা হতো বা বলা ভাল জেহাদীর পাঠ দেওয়া হতো। সেক্ষেত্রে মগজধোলাইয়ের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন মোশারফের কলেজপড়ুয়া ভাই আতিউর। শুক্রবার রাতেই মধুবোনা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হয় আতিউর হোসেন।

গ্রেপ্তারের সময় তাঁর ঘর থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী উদ্ধার করেছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু জাকির নায়েকের একটি জেহাদী বই। মঙ্গলবার আতিউরের পরিবার থেকে জানা যায়, একটি আবৃত্তি কম্পিটিশনে প্রথম হয়ে এই বইটি আতিউর পেয়েছিল। এবার প্রশ্ন উঠেছে মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এ ধরনের বই পুরস্কার হিসেবে কিভাবে দেওয়া হলো? তাহলে কি তলে তলে আরও অনেকেই জেহাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে? এবার অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এই জেহাদী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিল একসময় মোশারফের বহরমপুরবাসী এক আত্মীয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যেরকম আলোচনা চলত তা পছন্দ নয় বলেই তিনি বেরিয়ে গেছেন। যদিও তিনি বারবার মুশারফ, আতিউরকে বলেছিলেন এ ধরনের কাজ না করার জন্য। এরকমই মধুবোনা ও কালিনগরের এক ব্যক্তির কথা থেকেও উঠে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি সম্পর্কে নানা তথ্য। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ যে দেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ব্যবহার করা হত তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মধুবোনা, কালিনগর, গঙ্গাদাসপাড়া, বসন্তপুরে এখনো 22 জন যুবক আছেন, যারা এই জেহাদী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন মেম্বার হিসেবে।

তাঁদের উপরও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে যত দিন যাচ্ছে, ততই জঙ্গিদের কাছ থেকে আরো নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা নিতান্তই আতঙ্ক জাগিয়ে তুলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গিদের যে কাজকর্ম সম্প্রতি সামনে এসেছে তা থেকে স্পষ্ট একদিনে এই নেটওয়ার্ক তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ভারতে বসে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আশা রাখা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে যে কজন জঙ্গি ধরা পড়েছে তাঁদের থেকে সূত্র পেয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে পরবর্তী ষড়যন্ত্রও বিফল করবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!