এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুলের বাড়িতে শুভেন্দু, নতুন জুটি বিজেপিতে! বাড়ছে জল্পনা!

মুকুলের বাড়িতে শুভেন্দু, নতুন জুটি বিজেপিতে! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর জুটি যদি একসাথে কাজ করে, তাহলে তৃণমূল ভেঙে খান খান হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অবশেষে সেই আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিয়ে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে উপস্থিত হলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী‌। জানা গেছে, দুই বিজেপি নেতার মধ্যে প্রায় আধঘন্টা ধরে কথা হয়েছে। কিন্তু কি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হল! এখন সেটাই জল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বস্তুত, অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করার দিনেই মুকুল রায় সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “মুকুলদা আমাকে সব সময় বলেছেন, আত্মসম্মান নিয়ে যদি বাচতে হয়, তাহলে বিজেপিতে চলে আয়। আমরা একসাথে সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারব।” স্বভাবতই এই ঘটনার পরেই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।

অনেকে দাবি করেন, এই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী এককালে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ছিলেন। ফলে তারা দুজনেই এখন বিজেপিতে আসায় তৃণমূলের চিন্তা যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনই তারা একজোট হয়ে কাজ করলে বিজেপির অনেক নেতাও পেছনের সারিতে পড়ে যেতে পারেন। অবশেষে এমত পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে মুকুল রায়ের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

কি আলোচনা হল তাদের মধ্যে! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, “শুভেন্দু গণ আন্দোলনের ফসল। অনেক কাছ থেকে দেখেছি। আমাদের দূরত্ব রাজনৈতিক কারণে ছিল। আমি বিজেপি নেতা, আর ও তৃণমূলে ছিল। এখন একই দলে আছি। ও মনে করেছে, যাই মুকুলদার সঙ্গে দেখা করে আসি। এটা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ।” অন্যদিকে তারা একই দলে আছেন। তাই তিনি মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী।

একাংশ বলছেন, এই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী দুজনেই তৃণমূলের ঘর ভাঙতে বেশ পটু। স্বাভাবিক ভাবেই এই দুই নেতা একসাথে বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতা সারায় তারা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন কিনা, সেটা জল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য নিশ্চিত, যেনতেন প্রকারেন এখন তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলা সবথেকে বড় টার্গেট ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই এককালে তৃণমূলের চাণক্য বলে যে দুইজন ব্যক্তি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন, সেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী দুজনেই এখন বিজেপিতে থাকায় তাদের প্রধান টার্গেট যে তৃণমূলকে চাপে ফেলা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্তত দুই নেতার এদিনের বৈঠকে সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করছেন একাংশ।

এদিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল 50 টার বেশি আসন পাবে না বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “অমিত শাহ এবং জেপিন আড্ডার নেতৃত্বে বিজেপি এগিয়ে চলেছে। সামনের নির্বাচনে তৃণমূল 50 টা আসন পাবে না। বিধায়কদের ফোনে ফোনে থাকা যাচ্ছে না। আর পিকে কে? মমতাদেবী তো দলের ভিতরে ওর অবস্থান বা পারিশ্রমিকটা বলে দিলেই পারেন। এটা না হলে জবাব দেব কিভাবে!” একাংশ বলছেন, এই প্রশান্ত কিশোরের বিভিন্ন ভূমিকা নিয়ে দলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে সরব হতে শুরু করেছিলেন।

এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পেছনে এই প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা দায়ী বলে দাবি একাংশের। স্বভাবতই তৃণমূলের অন্দরমহলের এই বিষয়টিকে তুলে ধরে এবার সেই প্রশান্ত কিশোরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শাসকদলে আরও বেশি করে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করলেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়। তবে এদিন মুকুল রায়ের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি এবং দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের বিষয় নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!