এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গণনাকেন্দ্রে ছাপ্পা দিয়েও দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে না পেরে পার্থ-সাহেব এখন ‘দলের কেউ নন’!

গণনাকেন্দ্রে ছাপ্পা দিয়েও দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে না পেরে পার্থ-সাহেব এখন ‘দলের কেউ নন’!

নজিরবিহীন ভাবেই নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০১ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ ঘোষকে  ২২০ ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করলেন ঐ আসনের নির্দল প্রার্থী নীলাদ্রি সুকুল। জানা যাচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনার দিন নদীয়ার মাজদিয়ায় সুধীরঞ্জন লাহিড়ী কলেজে গণনার সময়ে কয়েক জন নির্দল প্রার্থী ঐ আসনের প্রতিদ্বন্দ্ব্বী অন্য প্রার্থীদের থেকে বেশি ভোটে এগিয়ে গেলে কিছু যুবক সেখানে ঢুকে তাঁদের ব্যালটে বাড়তি ছাপ মেরে সেগুলি বাতিল করে দিতে থাকে। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হলেও ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

ঘটনার জেরে গণনা কেন্দ্রের বাইরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে  পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাঠি চার্জ করে , কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এই প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থী নিলাদ্রী সুকুল অভিযোগ করে বললেন ছাপ্পা ভোট দেওয়ার কাজে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই নন এই কাজে অংশ নিয়েছেন প্রশাসনের তরফে গণনা কেন্দ্রে চা-জল দেওয়ার জন্য নিযুক্ত কয়েক জন কর্মীও । তবে শেষ অবধি তাঁর সরল স্বীকারোক্তি জানিয়ে বললেন, ”ওরা ছাপ্পা না মারলে আরও বড় ব্যবধানে জিততাম।” এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নদীয়া জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বললেন, ”এ সব আমাদের করতে হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন দেখে রাজ্যের মানুষ এমনিই দু’হাত তুলে আমাদের আশীর্বাদ করেছেন।” এখন স্বভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তা হলে তাঁদের দলের দু’জনকে ধরল কেন পুলিশ? এই প্রশ্নের জবাবে গৌরী বাবু বললেন , ”ওই ছেলেটি আমাদের দলের কেউ নয়। আর প্রার্থীকে পুলিশ ভুল করে ধরেছে। তদন্তেই প্রমাণ হযে যাবে যে উনি নির্দোষ।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!