একনজরে কোন পথে হল উত্তরপ্রদেশ ‘ম্যাজিক’? কিভাবে ঠেকানো গেল ‘পিসি-ভাইপোকে’? রাজ্য March 24, 2018 উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর- গোরক্ষপুরের হারের পর মলিন হয়ে গিয়েছিলো মোদী সরকারের হাসি। এবার আবার হাসি ফুটলো মোদী সরকারের মুখে। এবার রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৭ টি রাজ্যের ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ টি রাজ্যের ৩৩ টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এদিন ৭ টি রাজ্যের ২৬ টি আসনে ভোট হয় এবং তার মধ্যে ছিল উত্তর প্রদেশের দশটি। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে এদিন ৯ টি আসন বিজেপির ঝুলিতে যায় এবং দশ নম্বর আসনটিতে জিতলেন সপার প্রার্থী জয়া বচ্চন। জানা গেছে জয়ের পরই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জয়া বচ্চনকে অভিনন্দন জানান মোদী। এদিন মায়াবতী- অখিলেশের জোট ভাঙার উদ্যেশ্যে আদিত্য যোগী বলেন, “সপা সুবিধাবাদী। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে উপনির্বাচনে মায়ার সমর্থন নিয়ে নিজের প্রার্থী জিতিয়েছে। কিন্তু মায়ার প্রার্থীকে জেতাল না।”এই দশ নম্বর আসনটিতে নজর ছিল সবার কারণ ‘বুয়া-বাবুয়া’ (পিসি-ভাইপো) জোত আশা জাগিয়েছিল অ- বিজেপি দলগুলির মধ্যে। মোদিকে ঠেকাতে তৎপরতাও পরিলক্ষিত হয়েছে বিরোধী শিবিরগুলোতে। এদিন মায়াবতীর সেনাপতি সতীশ মিশ্র জানান, ”অর্থবল ও প্রশাসন প্রয়োগ করে ভোটে জিতেছে বিজেপি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বিধায়কদের জেল থেকে আসতে দেয়নি। অনিলের বিরুদ্ধে বিএসপি প্রার্থী ছিলেন ভীমরাও অম্বেডকর। বাবাসাহেবের সমনামী এক জনকে হারিয়ে বিজেপি আসলে ফের তাদের দলিত-বিরোধী মুখই তুলে ধরল।” এদিকে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম ও জেভিএম- এর সাথে জোট করে বিজেপির থেকে একটি আসন নিজের ঝুলিতে পুরলেন রাহুল গান্ধী। কর্নাটকে দুটির বদলে তিনটি আসনে এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সহায়তায় ১ টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। তবে দোস্তির মতো আসন বাড়লেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা চলতি জামানায় বিজেপির আর নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -