মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মেলালেন অধীর চৌধুরী, শুরু রাজনৈতিক গুঞ্জন জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য December 9, 2017 রাজ্য-রাজনীতিতে তিনি স্বঘোষিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী, এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থামাতে তিনি দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে বামফ্রন্টের সঙ্গেও হাত মেলাতে পিছপা হননি। তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে থামাতে সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধী চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতা আর তাই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল হয়তোবা অধীর চৌধুরী কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাবেন। সেই গুঞ্জন আরো পুঞ্জীভূত হয় যখন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বা রায়গঞ্জের সিপিআইএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম সেই দিকে স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করেন। কিন্তু অধীরবাবু নিজে বারবার তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজস্থানে মালদহের যুবককে নারকীয় খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে ওই যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পিছনে বিজেপিকে দায়ী করে ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা ছাড়াও সরকারি চাকরির বন্দোবস্ত করে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন। তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম করে অস্ত্র হাতে মিছিলকে দায়ী করেছেন এই ধরনের নির্মম ঘটনার জন্য। আর এবার সেই একই সুরে সুর মিলিয়ে অধীর চৌধুরী তোপ দাগলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে আমরা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখছি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া তো দূর অস্ত, এখন দেখছি মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া এখন উল্টো রথে চড়ে মধ্যযুগের দিকে ‘এগিয়ে’ চলেছে। বিজেপি দেশজুড়ে ‘লাভ জেহাদ’-এর জেরে হিংসা ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক যদি কেউ কাউকে বিয়ে করে, তবে সমাজের বা রাষ্ট্রের বলার কী আছে! কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সবকিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর তার অন্যথা হলেই যে করে হোক দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ওরা। প্রয়োজনে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় ফিরে যেতেও কসুর করছে না। এর প্রতিফল গুণতে হবে বিজেপিকে। বিজেপির অপশাসনের শীঘ্রই বিনাশ ঘটবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। আর এরপরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। তাহলে কি হাইকমান্ডের চাপে অবশেষে মমতা-বৈরিতা ভুলে বন্ধুত্ত্বের হাত বাড়াতে চলেছেন অধীর চৌধুরী? রাজ্যে কি আবার জোট হতে চলেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের? এই প্রতিবাদ নিছকই কাকতালীয় নাকি জোট-জল্পনার আগের ধাপ, খুব শীঘ্রই হয়তো পাওয়া যাবে সেই উত্তর। আপনার মতামত জানান -