এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অধীর থেকে উদ্ধব, মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরোধী নেতারা, 24 এর লোকসভায় নির্ণায়ক শক্তি হতে কাজ শুরু তৃণমূলের!

অধীর থেকে উদ্ধব, মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরোধী নেতারা, 24 এর লোকসভায় নির্ণায়ক শক্তি হতে কাজ শুরু তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এ বিজেপির তাবড় তাবড় নেতাদের পাখির চোখ হয়ে গিয়েছিল বাংলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সপ্তাহে সপ্তাহে বাংলায় এসে নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন। যার জেরে তৃণমূলের পক্ষে 2021 এ তৃতীয় বার বাংলার ক্ষমতা ধরে রাখার সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বড় প্রশ্ন। যদিও বা বিজেপির তাবড় তাবড় কেন্দ্রীয় নেতারা যে তার কাছে কিছুই নয়, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির 200 আসনের টার্গেটে স্বপ্নকে কার্যত ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে 213 টি আসন দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে 77 টি আসন দখল করেই থেমে যেতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর এরপর থেকেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অনেকটাই গ্রহণযোগ্য জায়গা লাভ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রীকে। যার ফলে আশাবাদী হয়ে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে বিজেপি বিরোধী দল হলেও, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর একটি মন্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যেখানে মোদীকে আটকাতে বাংলার মানুষ দিদির ওপর ভরসা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন মুর্শিদাবাদের শাহেনশা বলে পরিচিত অধীর রঞ্জন চৌধুরী‌।

স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করায় জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার ঘটাতে একের পর এক নেতা-নেত্রীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা যথেষ্ট পাথেয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে এখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভের চেষ্টা শুরু করে দিল ঘাসফুল শিবির।

বস্তুত, তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বাঙালির অবদানের কথা স্মরণ করে তৃণমূলের এই জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন তিনি। আর এরপরই সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস যে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে, তা বুঝতে পেরেছেন দলের নেতা-নেত্রীরা। ইতিমধ্যেই দলকে নতুন রূপে সাজাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শাসকদল।

সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নতুন করে সাজানো হচ্ছে তৃণমূল ভবন। অন্যান্য রাজ্যে বিস্তার লাভ করতে ছক কষার কাজ শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “আমাদের নেত্রী ডাক দিয়েছেন, সব দল এক ছাতার তলায় আসুক। মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হই। যার পটভূমি তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনে দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হবে সব দল। যার নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বিবৃতিকে স্বাগত জানাই। মমতার নেতৃত্বে মোদীকে হারানো যে সম্ভব, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ যত দিন যাচ্ছে, ততই সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্য জায়গা অর্জন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুব একটা খারাপ না হলেও, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু সেই অধীরবাবু যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন, তখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদী বিরোধিতার সবথেকে বড় মুখ হিসেবে চাইছে প্রতিটি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল, তা একবাক্যে পরিষ্কার বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডে জনসভা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই বিরোধী মহাজোট সফলতা পায়নি। তবে 2021 এর বিধানসভা লড়াইয়ে বিজেপির তাবড় তাবড় নেতাদের পরাজিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফল্যের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমগ্র বিরোধী বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা।

আর বিপুল জয়ে যখন রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিষ্ঠিত, তখন বাংলাই প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। যার জেরে এখন সকলে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানাতে শুরু করেছেন।

সেদিক থেকে সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পক্ষ থেকেও সুর নরম করার প্রবণতা নয়া গুঞ্জন তৈরি করল। যার ফলে আগামী দিনে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করতে তৃণমূলের পটভূমি আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে গোটা বিষয়টিকে কিভাবে কাজে লাগায় তৃণমূল কংগ্রেস, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!