বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের সংসদ, জেনে নিন বিস্তারিত জাতীয় রাজ্য January 9, 2019 মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে আজ যোগ দিলেন তৃণমূলের সংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি। তিনি জানান যে, ‘সবকা সাথ, সাবেক বিকাশ’ আমরা যুব সম্প্রদায় চাই যে পশ্চিমবাংলায় উন্নয়ন হোক। কিন্তু বাংলায় যে সরকার চলছে তারা কিছু করে না। সবথেকে বড় কথা বাংলায় গণতন্ত্র নেই। মানুষ ভোট দিতে পারে না। আমি তাই বাংলার প্রশাসনকে ধিক্কার জানিয়ে পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। কেননা বাংলা ছাড়া দেশের সব জায়গায় ভোট হয়। অমিত শাহ এর নেতৃত্বে বাংলায় নতুন সূর্য উঠুক তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপরেই তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেন যে, “বাংলায় কারুর কথা চলে না শুধুমাত্র ‘পিসি-ভাইপোর’ কথা চলে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। শুধুমাত্র ‘পিসি-ভাইপোর’ রাজত্ব চলছে। পশ্চিমবঙ্গে পুলিসি রাজ্ চলছে। পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতা বলে কিছু নেই. অভিষেক ব্যানার্জী আর মমতা ব্যানার্জী যা বলবেন তাই শেষ কথা। এমন চলবে না। আমরা চলতে দেব না। আর তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে আমি বিজেপিতে এসেছি।” জল্পনা চলছিল আগে থেকেই। আর আজ সেই জল্পনাকে সত্যি করে দিল্লিতে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন হেভিওয়েট সংসদ সৌমিত্র খাঁ। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই আমাদের প্রকাশিত এক খবরে আমরা জানিয়েছিলাম – তৃণমূল কংগ্রেসের তিন সাংসদের সঙ্গে অধুনা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের যোগাযোগের সাপেক্ষে – তাঁদের আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস বলে জল্পনা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তখন মুকুলবাবুর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। মুকুলবাবু আমাদের এই তিন সাংসদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিলেও, স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে এই তিন সাংসদের সঙ্গে তাঁর কোনোরকম আলোচনা হয় নি। কিন্তু, সেই জল্পনাকে সত্যি করে এই তিন সাংসদের একজন – অর্থাৎ, বিষ্ণুপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আজ মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। কিছুদিন আগেই, সৌমিত্রবাবু রাজনীতি করতে গেলে ‘তৈল মর্দন’ জরুরি গোছের পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর গতকাল তো তিনি ফেসবুক লাইভে এসে – বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুকমল দাসের বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের চক্রান্ত ও তাঁর আপ্তসহায়ককে অপহরণের অভিযোগ আনেন। সুকমলবাবু আরামবাগ বা বিষ্ণুপুর লোকসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট প্রত্যাশী বলেই এমন করছেন বলেও অভিযোগ জানান তিনি। আপনার মতামত জানান -