প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা চেয়েছেন কাটমানি, অভিযোগ জানাতেই আসছে হুমকি! ধর্নায় বসলো পরিবার তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতি যেন তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেধেছে। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার পর মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় নাম জড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতাদের। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও পরিস্থিতি কোনোমতেই বাগে আসছে না। এবার আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উঠল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার পরেই ব্লক প্রশাসনের কাছে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পর এই সেই পরিবারকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে প্রবল চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস যোজনা ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন সেহেনা খাতুন নামে এক মহিলা। অভিযোগ, তাকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অলোক পোদ্দার নামে এক তৃণমূল নেতা তার কাছ থেকে কাটমানি চাইতে শুরু করেন। আর এরপরেই সেহেনা খাতুনের স্বামী হাসিমুদ্দিন সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে শাসক দলের নেতা কাটমানি চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর সাথে সাথেই সেই পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে সেহেনা খাতুনের স্বামী হাসিমুদ্দিন বলেন, “আবাস যোজনা ঘরের জন্য তৃণমূল নেতা অলোক পোদ্দার 30 হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছেন। এই ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। তৃতীয় কিস্তির টাকার জন্য ফের টাকা চাওয়া হচ্ছে। টাকা না দেওয়ায় তৃতীয় কিস্তির টাকা মেলেনি।” কিন্তু বারবার যখন তৃণমূল দল এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতি বন্ধ করবার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেখানে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় রীতিমত অশ্বস্থিতে পড়ল শাসকদল বলেই মনে করছে একাংশ। কেন তিনি এই ভাবে বাড়ির দেওয়ার নাম করে টাকা চাইছেন! আর উপভোক্তারা যদি টাকা দিতে না পারেন, সেক্ষেত্রে কেন তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে! এদিন এই প্রসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছেন সেই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি কোনো টাকা নিইনি। সব রাজনৈতিক চক্রান্ত।” এদিকে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যতই দুর্নীতিকে বন্ধ করবার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন, এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার যে, নীচুতলার অনেক তৃণমূল নেতারা এখনও পর্যন্ত দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরে সরাতে পারেনি। যার ফলে উঠছে নানা অভিযোগ। এখন এই ঘটনায় জল কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -