প্রশান্ত কিশোরের এজেন্ট হয়ে তৃণমূলের টাকা নিয়ে কাজ! বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সরব সভাপতি বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কাছে ক্ষমতা দখলের অন্যতম টার্গেট। সাংগঠনিক শৃংখলাবদ্ধ দল হিসেবে পরিচিত ভারতীয় জনতা পার্টি যখন পশ্চিমবাংলার ক্ষমতা দখলকে প্রধান টার্গেট করে রেখেছে, তখন তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রূপ দেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিজেপির এখন চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। বুধবার রামপুরহাটে বিজেপির বুথকর্মী সম্মেলন ফের প্রকাশ্যে চলে এল দলের অন্তর্কোন্দল। জানা গেছে, এদিন পার্টি অফিসে ঢোকার সময় বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা জেলার সহকারি পর্যবেক্ষকের পথ আটকে দিয়েছেন দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। যার জেরে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এদিন রামপুরহাট পার্টি অফিসে বিজেপির বুথকর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় 200 এর বেশি নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক আসার সময় হঠাৎ করেই তার পথ আটকে দেন বেশ কিছু বিজেপি নেতা কর্মী। সম্মেলন করার আগে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলে রাজ্য সম্পাদকের কাছে দাবি জানান তারা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক। আর বিজেপির মত শৃংখলাবদ্ধ দলে কেন এইভাবে রাজ্য সম্পাদককে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে নলহাটির দুই নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অলোক মন্ডল বলেন, “জেলা বিজেপি 33 জন মন্ডল সভাপতিকে অন্যায় ভাবে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। ফলে কাজকর্ম ঠিকমত হচ্ছে না। বর্তমানে বুথে বুথে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করা হচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে বহু নেতাকর্মী বসে রয়েছেন। রাজ্য সভাপতিকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই ফের রাজ্য সম্পাদককে সমস্যা জানানোর জন্য এসেছি। সমাধান না করলে অন্য রকম ব্যবস্থা নেব।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? কেন জেলা নেতৃত্ব গোটা পরিস্থিতির সমাধান করতে পারছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বুধের কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে। যারা আজকে বলছেন তাদেরকে নিয়ে এর আগে পাঁচবার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি বসেছেন। কিন্তু আমাদের কথা তারা মানছে না। দলকে জেতানোর পক্ষে তারা যদি থাকতে চান, তাহলে আসুক। আর যদি ভেতরে ভেতরে প্রশান্ত কিশোরের এজেন্ট হিসেবে তৃণমূলের টাকা নিয়ে কোনো কাজ করেন, তাহলে কোনো কথাই নেই।” একাংশ বলছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠিক এই কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছিল। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠী বিরুদ্ধে সিপিএম ও বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আর এবার বিজেপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করলেও, যেভাবে বীরভূমে বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে এল এবং তার ফলে তৃণমূলের প্রতি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুললেন এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে, তাতে নতুন করে বিজেপি সমস্যায় পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক বিবেক সোনকার বলেন, “দলের নিয়ম অনুযায়ী তিন বছরের বেশি কেউ পদে থাকতে পারেন না। দলের নিয়ম তো মানতেই হবে। তবুও তাদের সঙ্গে আলাদা করে বসে সমস্যা শোনা হবে।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে বিজেপির পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -