অযোধ্যায় রামমন্দিরের পাল্টা! মসজিদ নির্মাণ নিয়ে আবেগ উস্কে বড়সড় কর্মসূচি-পরিকল্পনা প্রকাশ্যে জাতীয় বিশেষ খবর January 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ের মাধ্যমে অযোধ্যায় মন্দির- মসজিদ সমস্যার স্থায়ী মীমাংসা হয়েছিল। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে, অযোধ্যার অন্য এক স্থানের জমিতে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বহস্ত ভূমি পূজনের মধ্যে দিয়ে রাম মন্দিরের ভিত নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের পর এবার অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। আগামী ২৬ সে জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে এই মসজিদের ভিত নির্মিত হবে। এবার, মসজিদের ভিত্তি নির্মাণ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত অনুষ্ঠান সূচি প্রকাশ করেছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন বা আইআইসিএফ। জানা গেছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এই সুরম্য মসজিদ নির্মিত হতে চলেছে। মসজিদ নির্মাণের মূল দায়িত্বে আছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের অধীনস্থ ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন বা আইআইসিএফ। সম্প্রতি মসজিদের ব্লুপ্রিন্ট ফাউন্ডেশনের হাতে এসে পৌঁছলো। এই মসজিদ ৫ একর জায়গায় নির্মিত হতে চলেছে। মসজিদটি হবে সৌরশক্তি চালিত। এই মসজিদের সঙ্গেই থাকবে ৩৬০ টি বেড বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই হাসপাতালের ব্লু-প্রিন্টও ফাউন্ডেশনের হাতে এসে পৌঁছেছে। এই মসজিদ চত্বরে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রাখা হবে। হাসপাতাল ছাড়াও মসজিদের সঙ্গে ই থাকবে কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা, থাকবে গ্রন্থাগার, মিউজিয়াম, ইন্দো ইসলামিক কালচারাল রিসার্চ সেন্টার ও প্রকাশনা সংস্থা। মসজিদ নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে অযোধ্যা ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ২৬ সে জানুয়ারি বৃক্ষরোপণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মসজিদের ভিত্তি নির্মিত হবে। সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন সকাল ৮: ৩০ মিনিটে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হতে চলেছে। এ বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে গতকাল মসজিদের ৯ ট্রাস্টি বোর্ড একত্রিত হয়ে একটি বৈঠক করেছিল। এই বৈঠকে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দেওয়ার অর্থের ক্ষেত্রে আয়কর দপ্তর কতটা ছাড় পত্র দেবে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থে একাধিক প্রকল্পও থাকবে। সাধারণ মানুষের জন্যেই করা হবে বৃক্ষরোপণ। বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে সমাজ ও পরিবেশকে বাঁচাতে সচেতন ও উৎসাহিত করা হবে সকলকে। মসজিদের উদ্বোধনের দিন বৃক্ষ রোপন করে আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করা হবে, সচেতন করা হবে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে। পরিবেশ বাঁচাতে সকলেই যাতে এগিয়ে আসেন ও যত্নশীল হন, সে বিষয়ে বিশেষ বার্তা দেয়া হবে জনগণকে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। আপনার মতামত জানান -