এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আজই নির্ধারিত হয়ে যাবে একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতার ভাগ্য! তীব্র জল্পনা শুরু গেরুয়া শিবিরে

আজই নির্ধারিত হয়ে যাবে একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতার ভাগ্য! তীব্র জল্পনা শুরু গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ, বুধবার বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলায় রায় দিতে চলেছে লখনউয়ের সিবিআই আদালত। এই মামলায় অভিযুক্তদের সংখ্যা হল ৩২। যাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিমনোহর যোশি, বিনয় কাটিহার, সাক্ষী মহারাজ প্রমুখরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল। করসেবকদের দাবি ছিল, রামচন্দ্রের জন্মস্থানের উপরেই রয়েছে এই মসজিদ। তাই তাঁরা এই মসজিদ ভেঙে দেন। এরপর শুরু দাঙ্গা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৮০০ জন মানুষ এই ডাঙায় নিহত হন।

বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দেবার পর পুলিশ এ বিষয়ে দুটি fir করেছিল। প্রথমটি কয়েক লক্ষ করসেবকদের বিরুদ্ধে করা হয়। যারা ৬ ই ডিসেম্বর মসজিদের উপরে হাতুড়ি ও কুড়ুল চালিয়ে মসজিদটি ভেঙে দেয়। আর দ্বিতীয় fir করা হয় বিজেপির আডবাণী, যোশি, উমা ভারতী, বিনয় কাটিহার ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, সাধ্বী ঋতাম্ভরার বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, গিরিরাজ কিশোর ও অশোক সিঙ্ঘলের।

অভিযুক্ত করসেবকদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের ভার নিয়েছিল সিবিআই। পরে বিজেপি ও ভিএইচপি নেতাদের তদন্তের ভার নেয় উত্তর প্রদেশ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। এরপর ১৯৯৩ সালের ৫ ই অক্টোবর সিবিআই অভিযুক্ত ৪০ জনের নামে চার্জশিট দেয়। এরপর ১৯৯৬ সালের ১০ ই জানুয়ারি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। এতে অভিযোগ করা হয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য একটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল। এরপর ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা অনুযায়ী শিবসেনা প্রধান বাল থ্যাকারে ও শিবসেনা নেতা মোরেশ্বর সাভের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর ১৯৯৭ সালে লাখনৌ এর জনৈক বিচারক অভিযুক্ত ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেয়। তাদের মধ্যে আবার ৩৪ জন এলাহাবাদ হাইকোর্ট এগিয়েছিলেন। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় স্থগিতের আদেশ দিয়েছিল।

এরপর গত ২০০১ সালের ১২ ই ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, আডবাণী, যোশি, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং ও কিছু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট তুলে নেবার নির্দেশ দেয়। এর পরে এই মামলার গতি ধীর হয়ে যায়। এরপর ওই বছরেরই ৪ ঠা মে লখনউয়ের বিশেষ আদালত অভিযুক্তের ২১ জনের বিরুদ্ধে রায় বরেলি কোর্টে ও অপর ২৭ জনের বিরুদ্ধে লখনউ কোর্টে মামলা চালাবার নির্দেশ দেয়।

আবার অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে চার্জ বাতিল করার সিদ্ধান্তর পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে সিবিআই। তবে হাইকোর্ট তাদের এই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর গত ২০০৩ সালের জুলাই মাসে সিবিআই আদবানির উপর থেকে অভিযোগ তুলে নিয়েছিল।

এরপর ২০১১ সালে সুপ্রিমকোর্টে যায় সিবিআই। তখন সুপ্রিম কোর্ট রায়বেরিলি কোর্টের মামলা লখনউ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে মসজিদ ভাঙার প্রত্যক্ষদর্শী ৩০, ৪০ হাজার মানুষের সাক্ষ এই মামলাতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মোট ১০২৬ জন সাক্ষীর তালিকা তৈরি করেছিল সিবিআই। যাদের মধ্যে একাধিক সাংবাদিক, পুলিশকর্মী আছেন। কাল এই মামলার রায়।

অন্যদিকে, রাম মন্দির জমি সংক্রান্ত মামলাটির ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এরপর রাম মন্দিরের ভূমিপুজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী গত ৫ ই আগস্ট। যে মামলার সঙ্গে এই মামলাটি সম্পর্কহীন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!