এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমন করে যা বলেছেন তার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই – দাবি তৃণমূলের

অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমন করে যা বলেছেন তার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই – দাবি তৃণমূলের

লোকসভা নির্বাচনের আগেকে বেশি জনদরদি তা প্রমাণ করবার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণে অবতীর্ণ হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বনাম কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। আর তারই অঙ্গ হিসাবে গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এসে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রবল ক্ষোভ উগরে দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য নিজেদের নামে চালাচ্ছে বলে ঘাসফুল শিবিরকে তুলোধোনা, তো কখনও বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে তৃণমূলের গুজব রটিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে।

কিন্তু বাংলায় এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তাঁদের বিরুদ্ধে এহেন কথা বলে যাবে আর তারা চুপ করে থাকবে তা কখনো হয়! তাই তো অমিত শাহর সভা শেষের পরই পাল্টা এই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের তথ্য এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূলের দাবি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বক্তব্যের সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন কাথির জনসভায় বিজেপির অমিত শাহ বলেছিলেন, “ভারতের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর সেই লক্ষ্যেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হয়েছে।” আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই বক্তব্যকে কাউন্টার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘাসফুল শিবির দাবি করেছে যে, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুসারে কাউকে নাগরিকত্ব পেতে হলে তাকে 6 বছর বিদেশে থাকতে হবে। অন্যদিকে এদিনের দলীয় সভা থেকে অমিত শাহ বাংলাদেশে গরু পাচারের অভিযোগ করলে পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের নয়, তা কেন্দ্রের।

তাই কেন্দ্রই সেটা দেখভাল করে। এদিকে কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর মত প্রকল্প নকল করে রাজ্য কন্যাশ্রী প্রকল্প করেছে বলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দাবি করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, অমিত শাহ এখানে তথ্যকে বিকৃত করেছে। 2013 সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। অমিত শাহ দাবি করেছেন যে, কেন্দ্রে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও 2015 সালে শুরু হয়েছে।

ফলে সেদিক থেকে এর কোনো বাস্তব ভিত্তিই নেই। অন্যদিকে বাংলায় শিল্পের মেরুদন্ড ভেঙে পড়েছে বলে বিজেপি সভাপতি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের জবাব, দেশে শিল্পের বৃদ্ধির হার যেখানে 4.5 শতাংশ, সেখানে বাংলায় তা 11.41 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বক্তব্যের পাল্টা রাজ্যের উন্নয়ন ও পরিসংখ্যান তুলে ধরাই নয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কেন জনসমক্ষে এহেন অসত্য তথ্য দিলেন তা নিয়ে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অমিত শাহকে এই ব্যাপারে একটি চিঠিও দিয়েছেন। এমনকি তিনি তাঁর বক্তব্য যদি প্রত্যাহার না করেন তাহলে আইনি পদক্ষেপের হুমকিও দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে। সব মিলিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই শুরু হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!