এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লক্ষ্য 2024! দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবেই! অমিত শাহ নিজের পথেই অটল!

লক্ষ্য 2024! দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবেই! অমিত শাহ নিজের পথেই অটল!


সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয় ঘটেছে। লোকসভায় 6 মাস আগে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ব্যাপক সাফল্য পেলেও 6 মাস পরে এই উপনির্বাচনে তাদের পরাজয়ের পেছনে এনআরসি ইস্যু কাজ করেছে বলেই দাবি করছে একাংশ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই এই এনআরসি শিশুকে কি করে সাধারণ মানুষের পক্ষে আনা যায় তা নিয়ে নানা পরিকল্পনা শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।

তৃণমূলের এনআরসি বিরোধী প্রচারের মাঝে বিজেপি নেতৃত্ব চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে আগে সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল আনা হবে, তারপর এনআরসি করা হবে একথা বোঝাতে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব এই চেষ্টা করলেও, এবার তাদেরকে অস্বস্তিতে ফেলে 2024 সালের মধ্যেই সারাদেশে এনআরসি করা হবে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় সরকারির গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ।

সূত্রের খবর, সোমবার ঝাড়খন্ড বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আর সেখানেই এনআরসি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “রাহুলবাবা বলছেন, ওদের তাড়িয়ে দেবেন না! ওরা কোথায় যাবে! কী খাবে! কিন্তু আমি সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই, 2024 সালে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। 2024 সালের মধ্যে সারাদেশে এনআরসি হবেই।”

আর কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এখন সারাদেশে ব্যাপক জল্পনার সৃষ্টি করেছে। অনেকে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পেছনে এনআরসি ইস্যু কাজ করেছে বলে একাংশ দাবি করলেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে এনআরসি নিয়ে পিছু হটতে চায় না, তা অমিত শাহের মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন ঝাড়খন্ড বিধানসভা উপনির্বাচনে এনআরসির পাশাপাশি আরও বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় অমিত শাহকে। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “উন্নয়ন না মাওবাদ, কোন পথে হাঁটবে ঝাড়খন্ড! তা আপনাদের ভোটেই ঠিক করে দেবে। যেসব জওয়ান দেশের সীমান্তকে রক্ষা করেছেন, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ ঝাড়খণ্ডের। এই রাজ্যের মানুষজন সন্ত্রাসবাদ ও মাওবাদকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে।”

তিনি স্পষ্ট করেন, “বালাকোটে বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জঙ্গিদের কড়া জবাব দিয়েছেন।” অন্যদিকে রাম মন্দিরের রায় নিয়েও এদিন গর্ববোধ করতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে। আর সবশেষে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির জোটকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন অমিত শাহ।

তিনি বলেন, “কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর লোভে সেই কংগ্রেসের কোলেই বসে আছেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন।” তবে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এনআরসির পক্ষে সওয়াল করে 2024 সালের মধ্যে সারা ভারতে এনআরসি হবে বলে জানিয়ে দিলেও, এখন তার প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে কতটা পরে, তার দিকেই নজর রয়েছে সকলের।

অনেকে বলছেন, বাংলার মত 3 বিধানসভা উপনির্বাচনের এনআরসি প্রভাব পুরোপুরি বিজেপির বিপক্ষে গিয়েছে। ফলে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনেও এর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। বিশেষ করে লোকসভার পরে হয়ে যাওয়া দুই বিধানসভা নির্বাচনে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে যথেষ্ট খারাপ ফল হয়েছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খন্ডও হাতছাড়া হলে তা যে মোদী-শাহর কপালের ভাঁজ চওড়া করবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!