মেয়ো রোডে অমিত শাহের সভা – যুব স্বাভিমান সমাবেশের প্রতি মুহূর্তের লাইভ আপডেট কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য August 11, 2018 আজ কলকাতার মেয়ো রোডে ভারতীয় যুব মোর্চার ডাকে যুব স্বাভিমান সমাবেশে প্রধান বক্তা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। প্রতি মুহূর্তের লাইভ আপডেটের জেনে চোখ রাখুন এখানে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সভামন্স পৌঁছালেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অমিত শাহকে বরণ করে নিলেন। বাংলার যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার বরণ করে নিলেন সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভানেত্রী পুনম মহাজনকে। বক্তব্য রাখছেন বাংলার যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার। ইতিমধ্যেই সভাস্থলে হাজির হয়েছেন বিপুল সংখ্যক গেরুয়া কর্মী-সমর্থক, সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও, অসমর্থিত সূত্রে খবর সেই সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়েছে। দেবজিৎ সরকার বললেন, ২ টাকা কেজি চালের ভিক্ষা চাই না, আমরা চেয়েছিলাম কাজ করার সুযোগ। মেয়ো রোডের সভাস্থলে তৃণমূল ‘বাঁদরামি’ করেছে, আমরা সৌজন্য দেখিয়েছি। শহীদ ক্ষুদিরামের নামে এই সমাবেশ উৎসর্গীকৃত করছি। বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠলেন বাংলার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গের যুবরা আজ সবথেকে বেশি অবহেলিত। কাজের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গারা। স্কুল-কলেজে পড়াশোনা হয় না, শুধু মারপিট হয়। বিজেপিকে সভা করতে দেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছেন। বাংলায় সুপার এমার্জেন্সি চলছে। রবীন্দ্রসংগীতের দেশে বোমার আওয়াজ চলছে। এখানে বেআইনি অস্ত্র কারখানা চেয়ে গেছে। খুন-ধর্ষণে এগিয়ে বাংলা। নির্বাচন হয় না, কোন দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা? পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনার জন্য চেষ্টা করছে বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৭ জন বিজেপি কর্মী মারা গেছেন। পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করব, পশ্চিম বাংলাদেশ করব না। বক্তব্য রাখছেন পুনম মহাজন। দিদি – এই ভিড় দেখে নিন, এটা তো শুধু ট্রেলার, পিকচার অভি বাকি হ্যায়। বাংলায় পরিবর্তন হয় নি, হয়েছে শুধু রঙের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলায় তৃণমূলের লোকের পরিবর্তন হয়েছে, শুধু চিটফান্ড কান্ড হয়েছে। ওনার নাম ‘মমতা’ কিন্তু নামের মত ওনার মনে কোন ‘মা’ ও ‘মমতা’ নেই। মা-মাটি-মানুষ – সবাই আজ হতাশ। টিএমসির অর্থ কি? টেরর-মেকিং-মেশিন হয়ে গেছে। কেজরিওয়াল দিল্লিকে লন্ডন করতে পারেননি, রাহুল গান্ধী আমেঠিকে সিঙ্গাপুর করতে পারেননি, কিন্তু দিদি বাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশ করে ফেলেছেন। স্বামী বিবেকানন্দের নাম নরেন্দ্র ছিল, ওনার স্বপ্ন আরেক নরেন্দ্র, মোদীজি পূরণ করবেন। দেখবেন বাংলার ‘ইউ-টার্ন দিদি’ দেখবেন। অমিত শাহ ক্ষুদিরাম বোসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করছেন। বক্তব্য রাখছেন অমিত শাহ। বাংলায় পরিবর্তনের সংকল্পের সঙ্গে বলুন – ভারত মাতা কি জয়। আজকের ভিড় বলে দিচ্ছে বাংলায় পরিবর্তন হচ্ছেই। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ক্ষুদিরাম বোস ভারত মায়ের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। আজকের সভা বাংলাকে না দেখতে দেওয়ার জন্য জন্য চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মমতা দিদি এইভাবে আটকাতে পারবেন না। আমি জেলায় জেলায় আন্দোলন নিয়ে যাব। তৃণমূল পোস্টের লাগিয়েছে বাংলা বিরোধী বিজেপি গো ব্যাক। বিজেপি কি করে বাংলা বিরোধী হয়? বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বাংলার সুপুত্র। আমরা বাংলা বিরোধী নয়, কিন্তু নিশ্চিতভাবে মমতা-বিরোধী। আজ আমি আপনাদের এনআরসি কি বলব? আসাম থেকে বেআইনি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হচ্ছে, মমতা দিদি যতই বিরোধ করুন, আমরা এই অন্যায় অনুপ্রবেশকারীদের তারিয়েই ছাড়ব। মমতা দিদি – আপনি কেন অনুপ্রবেশকারীদের রেখে দিতে চাইছেন? আপনিই তো লোকসভায় কাগজ ছুঁড়ে বলেছিলেন বাংলাদেশিদের তাড়াতে চেয়েছিলেন! আজ এইসব অনুপ্রবেশকারী আপনার ভোটব্যাংক হয়েছে বলে রাখতে চাইছেন? আসাম চুক্তি অনুযায়ী এই এনারসির কাজ হচ্ছে। এই চুক্তি করেছিলেন রাজীব গান্ধী, আজ ভোটব্যাঙ্কের জন্য রাহুল গান্ধী এর বিরোধিতা করছেন। বিজেপির কাছে দেশ আগে ভোটব্যাংক অনেক পরে। তৃণমূল এখানে ভুল বোঝাচ্ছে এনআরসি হলে স্মরণার্থীরাও দেশ ছাড়া হবেন, কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কোন স্মরণার্থী দেশছাড়া হবেন না। মমতা দিদি আপনি ভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রশ্ন করছি – আপনারা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের মানবাধিকার নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু আমরা বাংলার হিন্দু ও মুসলমানের মানবাধিকার নিয়ে চিন্তিত। তাই এনআরসি আমরা করেই ছাড়ব। আপনারাই এনআরসি নিয়ে এমন আওয়াজ তুলুন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করতে বাধ্য হন। বাংলায় শুধুই ভ্রষ্টাচার চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার। সারদা থেকে নারদ কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি দিতে পারে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ত্বাধীন বিজেপিই। কীর্তন-রবীন্দ্রসংগীতের দেশ বাংলায় আজ শুধু বোমের আওয়াজ। পুরোনো সংস্কৃতির বাংলা ফিরে পেতে চাইলে বাংলায় বিজেপির সরকার আনতেই হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেশে রেকর্ড করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাউকে ভোট দিতে দেয় নি, বিজেপির ৬৫ কর্মীকে মেরেছে। এইভাবে যদি জিতবেন ভাবেন তাহলে কমিউনিস্ট পার্টির কথা মনে করুন। এতো মেরেও ভারতীয় জনতা পার্টির পঞ্চায়েতে জয়ের পরিসংখ্যানটা একবার দেখে নিন দিদি। দেশের মধ্যে এত রাজ্যে বিজেপি এলেও, বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে তা বিজেপির স্বর্নযুগ হবে না। তৃণমূল সরকারের জামানায় সারা দেশের উন্নয়নের নিরিখে বাংলার কন্ট্রিবিউশন ২৫% থেকে কমে ৩% হয়ে গেছে। বাংলায় কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও তৃণমূলকে আপনারা সুযোগ দিয়েছেন – কিন্তু বাংলায় উন্নয়ন হয় নি। তাই এবার বিজেপিকে বাংলায় নিয়ে আসুন উন্নয়নের স্বার্থে। বাংলাকে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল – কিন্তু আপনার সেই টাকা পান নি। মোদীজি তো টাকা পাঠিয়েছেন – সেই টাকা কোথায় গেল? ভাইপো আর সিন্ডিকেটের পকেটে? বাংলায় দশমীর দিন দুর্গাঠাকুরের বিসর্জন হয় না, স্বরস্বতী পুজো হয় না – এটা কি ঠিক? দিদি – পরের বার যদি ভুল করেও এটা করেন ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা আপনাকে বুঝিয়ে দেবেন। দিদি সব টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে আমার বক্তব্য বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছতে দিচ্ছেন না, কিন্তু বিজেপি কর্মীরা সেই আওয়াজ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন। আমার সঙ্গে বাংলা থেকে ২২ টি আসন জেতানোর সঙ্কল্প করুন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ত্বে বিজেপির সরকার বানানোর সঙ্কল্প নিন। আপনার মতামত জানান -