শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মঞ্চে পদার্পন আরো দুই হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতার কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য October 30, 2018 গতকাল থেকেই শহীদ মিনার চত্ত্বরে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা ইউইউপিটিডব্লুএর নেতৃত্ত্বে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেলের দাবিতে দুদিন ব্যাপী ধর্ণা ও আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষকদের ‘যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তা যেন আন্দোলনের আগুনে ঘৃতাহুতি করেছে। আজ প্রায় কম-বেশি এক লক্ষ শিক্ষকের জমায়েত হয়েছিল এবং সেই জমায়েত থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মিছিল করবেন শিক্ষকরা। সেই মিছিল শুরু হতেই আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এরপরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। সংগঠনের ও আন্দোলনের প্রথম শ্রেণীর সমস্ত নেতা-নেত্রী সহ গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ১৫০ শিক্ষক। ১০-১২ টি পুলিশ ভ্যান ও ৩-৪ টি পুলিশ গাড়ি করে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস, রাজ্য সভাপতি সন্দ্বীপ ঘোষ, মইদুল ইসলাম, বেলা সাহা, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, নাফিসা দেবী সহ প্রায় ১৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে গেছে কলকাতা পুলিশ। জামান আশিক ইলাহী নামে আন্দোলনরত এক শিক্ষকের কথায়, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠি চার্জ করা, শার্টের কলার ধরে টানাহ্যাচড়া, ঘাড় ধরে ধাক্কা, শেষে তাদের গ্রেফতার – বলিষ্ঠ শিক্ষিত সমাজের পতনের লক্ষণ। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিন্তু, তারপরেও আন্দোলনের তীব্রতা কোমর কোনও লক্ষণ নেই। সংগঠনের কোর কমিটির অধিকাংশ নেতা-নেত্রীই গ্রেপ্তার হলেও – যাঁরা আছেন, তাঁরাই শহীদ মিনারের পাদদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠছেন উপস্থিত শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সমর্থন নিয়ে মঞ্চে পৌঁছালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী নরেন দে। গতকালই, এই আন্দোলনের সমর্থনে মঞ্চে এসেছিলেন অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা। আজ সকালে এসেছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের তরফে বারবার জানানো হয়েছিল – এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও মানবিক আন্দোলন। আর তাই, দলমত নির্বিশেষে সমস্ত জন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ ও গণ-সংগঠনকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। আর তাই, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের পর এবার বিজেপিও নিজেদের সমর্থন নিয়ে আন্দোলনের মঞ্চে পৌঁছে যাওয়ায় চাপ আরও বাড়ল রাজ্য সরকারের বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই, শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে রাজ্য সরকারের গ্রেপ্তারির মত চরম পদক্ষেপ নিয়ে আজকের দিনটিকে ‘কালা দিবস’ বলে অভিহিত করছেন সুধীজনেরা। এরপরে রাজ্য-সরকার বিরোধী তিন মহা রাজনৈতিক শক্তি এক মঞ্চে চলে আসায় রাজ্য সরকার তা কিভাবে সামাল দেয় সেদিকেই এখন তাকিয়ে সবাই। আপনার মতামত জানান -