এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আরও চাপ বাড়ল এনার – এবার জেলের মধ্যেই ইডির হাতে গ্রেপ্তার হতে হল! জানুন বিস্তারিত

আরও চাপ বাড়ল এনার – এবার জেলের মধ্যেই ইডির হাতে গ্রেপ্তার হতে হল! জানুন বিস্তারিত

দীর্ঘ নাটকের অবসানের পর বেশ কিছুদিন আগেই আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় সিবিআই-এর হাতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম গ্রেপ্তার হন গত 21 শে আগস্ট। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে আপাতত তিহার জেলে চিদম্বরম। চিদম্বরমের গ্রেপ্তারের ঘটনায় সেই সময়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। সরকারি, বিরোধী দলগুলি দোষারোপে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এবার চাপ বাড়িয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে আই এন এক্স মিডিয়া মামলায় তিহার জেল এর মধ্যেই গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি।

দিল্লির তিহার জেলে এদিন সকালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন। ইডির অফিসাররা তিহার জেলেই চিদম্বরমকে জেরা করে। সে সময় জেলে উপস্থিত ছিলেন চিদম্বরমের ছেলে কার্তিক এবং স্ত্রী নলিনী চিদাম্বরম। পি চিদাম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে।

সিবিআই চিদম্বরমের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। তারই ভিত্তিতে বিশেষ আদালতের রায় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পি চিদম্বরমের জেল হেফাজত শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিক তার দুদিন আগেই ইডি চিদম্বরম কে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পায়। এবং সোমবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ইডির পক্ষে চিদম্বরমকে জেল হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন। যদিও তুষার মেহেতার বক্তব্যে কোনরকম রায় দেননি বিচারপতি অজয় কুমার কুহার। মঙ্গলবার আবারও দুই পক্ষের বক্তব্য শোনেন বিচারপতি। প্রথম থেকেই ইডি জানিয়েছিল জরুরী ভিত্তিতে চিদম্বরমকে জেরা করতে চায় তাঁরা। অন্যদিকে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, সিবিআই ও ইডি দুজনেই একই অভিযোগ এনেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে একই অভিযোগে আলাদা আলাদা করে হেফাজতে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি ইডি সামনে দুটি অপশন দেন। একটি হলো, মঙ্গলবার তিহার জেলে গিয়ে দেড় ঘন্টার জন্য চিদম্বরমকে জেরা করতে পারে ইডি। আরেকটি হল বুধবার তিহার জেলে গিয়ে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া যেতে পারে। এবার আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ইডির তরফ থেকে আদালত চত্বরে পি চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। এর উত্তরে বিচারপতি জানান, চিদম্বরমের সম্মানের কথা মাথায় রেখে জনসমক্ষে এই ধরনের কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া যাবে না। তখনই দ্বিতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইডি। তাঁরা তিহার জেলে গিয়ে পি চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

সম্পূর্ণ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে বিরোধীদলের দাবি, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালিয়ে যাচ্ছে। পি চিদাম্বরম ইতিমধ্যে বেশ কয়েকদিন তিহার জেলে কাটিয়েছেন। একই অভিযোগে দুই দুইবার কিভাবে তাঁর হেফাজত হয় সেই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিরোধীমহল। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দুর্নীতিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিচ্ছে না। দুর্নীতির অভিযোগে যেই যুক্ত হোক তাঁকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা আসে না। আপাতত পি চিদম্বরমের ঘটনা কোন দিকে গড়ায়, সেদিকে নজর দিয়ে বসে আছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!