এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার দলীয় কোন্দলে জড়ালেন অর্পিতা ঘোষ ও বিপ্লব মিত্র

এবার দলীয় কোন্দলে জড়ালেন অর্পিতা ঘোষ ও বিপ্লব মিত্র

বালুরঘাটেরতৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র -র মধ্যে জোর দ্বদ্ধ শুরু হলো। কদিন আগে গঙ্গারামপুরের একটি প্রশাসনিক সভায় মুখমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করেন।যদিও তিনি বলেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ শুরু হতে দেরি হবে এবং পরে ঘোষণা করা হবে কোথায় কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। কিন্তু অভিযোগ সভার ৭ দিনের মধ্যেই দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র গঙ্গারামপুরের বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজে লেগে গেছেন। এবং গঙ্গারামপুরের লাগোয়া কৃষি বীজাগারের পাশবর্তী এলাকার প্রায় ১০০ একর জমির উপর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে জেলা সভাপতির নেতৃত্বে ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীরা বিনা নোটিশেই কাজ শুরু করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলের একাংশ।এই নিয়ে বিপ্লব মিত্র দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরের দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে জেলাপ্রশাসনকে জানানো হয়েছে আর তার পরেই অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে গঙ্গারামপুরে জমি দেখার কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ আর গঙ্গারামপুরে বিশ্বাবিদ্যালয় হলে জেলার সমস্ত ব্লকের ছেলেমেয়েদের এমনকি শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও অনেক সুবিধা হবে৷
অন্যদিকে তাঁর যুক্তিকে খণ্ডন করে বালুরঘাটের তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে কেন শুধু গঙ্গারামপুরেই জমি চিহ্নিত করা হচ্ছে সেটাই টি বুঝতে পারছেন না আর এই নিয়ে তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন৷ পাশাপাশি দাবি জানাবেন যে শুধু গঙ্গারামপুর নয় বালুরঘাট মহকুমা এলাকাতেও জমি চিহ্নিত করা হোক৷ তার পর গুরুত্ব বুঝে ঠিক হবে কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে.আর সেটা ঠিক করবেন স্বয়ংমুখ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দফতর। এদিকে অর্পিতাদেবীর বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ অংশ এই বিশ্ববিদ্যালয় বালুরঘাটে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে ও সাথে জেলার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বালুরঘাট কলেজ বা পতিরাম কলেজকেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে। যদিও এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছ থেকে কোনো পতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!