এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বাংলাদেশী পাচারকারী ধরতেই চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের! নজরে ভুয়ো প্যান-ভোটার কার্ডের বড় চক্র?

বাংলাদেশী পাচারকারী ধরতেই চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের! নজরে ভুয়ো প্যান-ভোটার কার্ডের বড় চক্র?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথাতেই বলে, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। আর ঠিক সেই ছবিটাই ধরা পড়ল পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলে এত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও নারী পাচারকারী হিসেবে সম্প্রতি একজন ধরা পড়েছে এবং সেখান থেকেই প্রকাশ হয়েছে লকডাউনের মধ্যে দুরন্ত গতিতে অনুপ্রবেশ হয়ে চলেছে অহরহ। কিন্তু সব থেকে যেটা বিপজ্জনক ঘটনা উঠে এসেছে এই নারী পাচারকারীর মুখ থেকে, সেটা হল- আসল তথ্য লুকাতে একের পর এক ভুয়ো তথ্য সাজিয়ে প্যান কার্ড এবং ভোটার কার্ড তৈরি হচ্ছে যা এই মুহূর্তে অত্যন্ত চিন্তার কারণ।

জাহানারা খাতুন নামক বাংলাদেশের এক মহিলা ধরা পড়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্তে। প্রাথমিকভাবে এই মহিলা ভুয়ো তথ্য দিয়ে পুরো ব্যাপারটি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালালেও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে ও আসল ব্যাপারটি বলে দেয়। এবং তারপরেই যারপরনাই চিন্তিত হয়ে ওঠে সেখানকার সদস্যরা। কারণ জানা গেছে, এ ক’দিনে বাংলাদেশ থেকে বহু যুবতী ওই মহিলার হাত ধরে ভারতে ঢুকেছে পাচার হবার জন্য।

অন্যদিকে জাহানারা বিএসএফ কর্তা এবং তদন্তকারীদের জানিয়েছে, 11 বছর আগেই সে এদেশে এসেছিল। কিন্তু এখানে এসে সে হিন্দু পরিচয়ে বাস করতে শুরু করে। আর শুধু সে কারণেই লাখ টাকা দিয়ে একটি ভোটার কার্ড তৈরি হয়েছিল যেখানে জাহানারা নাম বদলে গিয়ে হয়েছিল পিংকি পান্থ মণ্ডল। ধৃত মহিলা জানিয়েছে, তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে মুম্বাইয়ের কল্যাণে। সেখানে অবশ্য প্যান কার্ডে স্বামীর নাম পাল্টে গিয়ে হয়েছে পিংকি সঞ্জু মন্ডল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তদন্তকারীরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছে, দু’রকম পরিচয়ে দেশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কার্ড বার করার কাজে যুক্ত রয়েছে মুম্বাইয়ের কল্যাণের বেশ কিছু যুবক। এর আগেও বহুবার নাম ভাঁড়িয়ে ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড বার করে দিয়েছে তাঁরা। তদন্তকারীরা আরো জানিয়েছে, ধৃত ওই মহিলার ভোটার কার্ডে ভারতীয় নাম লেখার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই মুম্বাইয়ের কল্যাণ এলাকায় বাড়ি ভাড়া পেতে তাঁর সুবিধা হয়। রাজমিস্ত্রির কাজের ফাঁকে চলতে থাকে নারীপাচার।

অন্যদিকে জাহানারা খাতুন জানিয়েছে, সে বিভিন্ন কাস্টমারের সঙ্গে কাজের মাধ্যমেই যোগাযোগ চালাত আর সেই কাজে আরো এক মহিলা তাঁকে সাহায্য করতো বলে সে জানায়। তবে বিএসএফ কর্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বহু যুবতীকে ফুঁসলিয়ে এ দেশে নারী পাচার সূত্রে নিয়ে আসলেও এদেশ থেকে কোন যুবতীকে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়ে যেতে পারেনি জাহানারা। অন্যদিকে জানা গেছে, এই মহিলার সাথে একই অপরাধে যারা যুক্ত ছিল, তাঁদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

অন্যদিকে সীমান্তে নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারীদের মতে, এই নারীপাচার চক্রের শিকড় আরো অনেক ভেতরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তে নজরদারি কম হওয়ার ফলেই এ ধরনের ঘটনা আকছার ঘটছে। তার সাথে ভুয়া ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড চক্র যেভাবে কাজ করছে তা রীতিমতো মারাত্মক। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান থেকেও যেকোন সময় সন্ত্রাসবাদীরা এদেশে এসে বসবাস শুরু করতে পারে এভাবে ভুয়া ভোটার কার্ড কিংবা প্যান কার্ড বানিয়ে, আর সেক্ষেত্রে ধরা পড়ার চান্স খুবই কম। আপাতত পুরো ব্যাপারটি তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানা গিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!