এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার বুকে অমিত শাহের এক প্রতিশ্রুতিই জিতে নিল চরমতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থন – জানুন বিস্তারিত

বাংলার বুকে অমিত শাহের এক প্রতিশ্রুতিই জিতে নিল চরমতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থন – জানুন বিস্তারিত


বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন করাকে পাখির চোখ করা বিজেপির প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ সম্প্রতি মালদহের সাহাপুরে এক জনসভা করেন। সেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এখনও ৪৯% ডিএ পাচ্ছেন না? কেনই বা সাড়ে তিন বছর হয়ে গেলেও বাংলার সরকারি কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রীয় হারে বেতন কমিশন চালু করছে না রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সমস্ত পাওনা গন্ডা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রত্যাশিত পথেই অমিত শাহের এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিজেপি প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন। আর, কেন বিজেপি নিজেদের দেওয়া কথামত ১৫ লক্ষ টাকা সকলের অ্যাকাউন্টে এখনও দেয় নি – সেই প্রশ্ন তুলে বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন।

কিন্তু, অমিত শাহের এই প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে এবার তিনি তাঁর সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থন ও আস্থা জিতে নিলেন। বাংলায় যতই লড়াইটা হোক তৃণমূল বনাম বিজেপি, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে আসলে লড়াইটা কিন্তু বিজেপি বনাম কংগ্রেস। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু নিতান্তই এক আঞ্চলিক দল ছাড়া কিছুই নয় গেরুয়া শিবিরে কাছে।

আর কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি অনুমোদিত সরকারি কর্মচারী সংগঠন হল কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ – যারা দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে ইতিমধ্যেই – ডিএ সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার এই মান্যতা আদালত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। আর তারপরে ডিএর হার বা তা বছরে কতবার করে দেওয়া হবে সেই নিয়ে আইনি লড়াই লড়ে চলেছে।

অন্যদিকে নতুন বেতন কমিশন এখনও চালু না হওয়া নিয়েও রীতিমত সরব সংগঠনটি। আর সেই কনফেডারেশনই এবার সরাসরি অমিত শাহের প্রতিশ্রুতিকে সাধুবাদ জানিয়ে সমর্থন জানালো – যা রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

কনফেডারেশনের তরফে অন্যতম শীর্ষনেতা সুবীর সাহা গতকাল টেলিফোনে জানান, অমিত শাহ সরকারি কর্মীদের বঞ্চনা নিয়ে যে প্রশ্ন মালদার জনসভায় তুলেছেন তা অত্যন্ত মানবিক ও সময়োপযোগী। একই সাথে তাঁর প্রতিশ্রুতি, যে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে – একে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।

কোনো জাতীয় পর্যায়ের দলের শীর্ষনেতা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, সোজা কথায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবিকে মান্য দিচ্ছেন – এ তো নজিরবিহীন। বর্তমান রাজ্য সরকার তো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবিকে মান্যতাই দিতে চায় না!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সুবীরবাবুর আরও বক্তব্য, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বাকি নেই, রাজ্য সরকারি আইনজীবী স্যাটে ও আদালতে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন ডিএ আদতে রাজ্য সরকারের দয়ার দান, মুখ্যমন্ত্রী ডিএর সাথে ইন্টেরিম রিলিফ মার্জ করে দিয়েছেন, বেতন কমিশনের তরফে চাওয়া না হলেও তার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন – এই সাবের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা শুধু বঞ্চনাই পেয়েছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার আগে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সব পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই তা করে। আর তাই বাংলার ব্যাপারে একই ঘোষণা করায় – আমরা আশান্বিত।

তবে কি আসন্ন নির্বাচনগুলিতে কনফেডারেশন বিজেপিকে সমর্থন করবে? সুবীরবাবুর জবাব, অমিত শাহের বক্তব্যকে সমর্থ জানানোর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভোটাধিকার যে কোন মানুষের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার – সে ব্যাপারে আমরা কোনোপ্রকার হস্তক্ষেপ করব না, বা কাউকে প্রভাবিত করব না। তবে, আমরা সবসময়েই চাই কর্মচারী স্বার্থ সুরক্ষিত থাকুক – আর তা যে করবে আমরা তাকেই সমর্থ জানাবো। বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে ২০২১ সালে তারা তা করে দেখাবে, এখন দেখার বর্তমান রাজ্য সরকার তার আগেই তা করে কর্মচারী স্বার্থ সুরক্ষিত করে কিনা। যদি করে সেক্ষত্রেও আমরা অবশ্যই বর্তমান রাজ্য সরকারকে সাধুবাদ জানাবো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!