এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার বাংলার বুকেই প্রকাশ্যে শৌচ করায় বন্ধ রেশন, জরিমানা ৫০ হাজার!

এবার বাংলার বুকেই প্রকাশ্যে শৌচ করায় বন্ধ রেশন, জরিমানা ৫০ হাজার!

অস্বচ্ছতা বন্ধ করতে নেওয়া হল কড়া পদক্ষেপ। মাঠে-ঘাটে প্রকাশ্যে শৌচক্রিয়া বন্ধ করতে বহুদিন আগে থেকেই কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে শৌচকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে দেখা যায়নি অনেককেই। আর এবার মুক্ত প্রকৃতিতে প্রাতঃকৃত্য করার অভিযোগে এক দিনমজুর পরিবারের প্রাপ্য রেশন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ডিলারকে লিখিত নির্দেশ দিয়ে বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাশাপাশি এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারকে ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে যে, পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ২ ব্লক এলাকার মসজিদপুর গ্রামের হেমন্ত মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তির মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে প্রথমে পুলিস সুপারের রিপোর্ট নিয়ে পরে বিডিওকে গোটা বিষয়টি জানা হয়। আর এরপরই সবকিছু খতিয়ে দেখে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, স্বচ্ছ ভারত ও মিশন নির্মল বাংলা বাস্তবায়িত করার নামে রাজ্যে কোথাও কেউ যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটাতে পারে, তার জন্য সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট কমিশনের পক্ষ থেকে এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল। এমনকি প্রকাশ্যে শৌচকর্ম না করতে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি স্তরে বিভিন্ন জায়গায় জোরদার প্রচারও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই প্রবণতা কমেনি।

জানা গেছে, বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় একটি ব্লকে মাঠে প্রাতঃকৃত্য করে ধরা পড়লে শাস্তিস্বরূপ গাছের চারা লাগাতে বলা হয়। কিন্তু, প্রকাশ্যে প্রাতঃকর্ম করে সরকারি প্রাপ্য বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা কোথাও ঘটেনি। এদিন এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের রাজ্যে শৌচালয় বেশিরভাগ জায়গাতেই করা হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় হয়তো না হয়ে থাকতে পারে। বাইরে প্রাতঃকৃত্য না করার জন্য অনেক প্রচার করা হয়েছে। তবে অনেকে দীর্ঘদিনের অভ্যাসবশত শৌচালয় থাকতেও বাইরে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। তাঁদেরও সচেতন হতে হবে।”

বস্তুত, গত ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল হেমন্ত মণ্ডল প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়ে স্থানীয় কাইতি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর হাতে ধরা পড়েন। ঘটনায় তিন মাসের বেশি সময় পর্যন্ত তাঁর রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এরপরই সেই স্থানীয় কাইতি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপতী দলুই লিখিত নির্দেশ দেন যে, হেমন্ত মণ্ডলের পরিবারকে রেশন দেওয়া যাবে না। আর এই পরিস্থিতিতে কমিশন রায়না (দুই)-এর বিডিওকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করলে গত জুন মাসে সেখানকার বিডিও দীপ্যমান মজুমদার কমিশনে উপস্থিত হন।

জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ব্যক্তির রেশন বন্ধ ছিল। কমিশনের দাবি, এই ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দ্বারা ভুক্তভোগীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। যেটা সচেতনভাবেই হোক বা অসচেতনভাবেই হোক বিষয়টি বিডিওর চোখ এড়িয়ে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে কমিশন যে সুপারিশগুলি করছে তা হল, রেশনে স্মার্ট কার্ড দিতে হবে। যাতে রেশন দেওয়া হচ্ছে কি না তার নথি থাকবে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এই ব্যাপারে সরকার কী ব্যবস্থা নিল! তা তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে বলেও জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!