মমতার উন্নয়নের বাংলায় মাসিক বেতন মাত্র ৬০০ টাকা! মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কাতরভাবে তাকিয়ে কর্মীরা কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 26, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে যেমন দিনের পর দিন খরচ বেড়েই চলেছে, সেখানে রোজগার ক্রমশ কমেছে মানুষের। আর তাই এমন কঠিন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর আদায়কারীরা। কারণ কাজের বিনিময়ে তারা যেটুকু বেতন ও কমিশন পান, তাতে তাদের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে বলেই জানা গেছে। তাই এই অবস্থায় কর আদায়কারীদের কথায়, এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার একবার তাঁদের কথা বিবেচনা করুক সেটাই চাইছেন তারা। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের অনুরোধ, রাজ্যের কয়েক হাজার ট্যাক্স কালেক্টরের জন্য তিনি যদি সম্মান দক্ষিণা বাড়ান, তাহলে এই পরিবারগুলো অন্তত খেয়ে পরে কোনরকমে বেঁচে যায় বলেই জানিয়েছেন তারা। কারণ লকডাউনে একপ্রকার পঞ্চায়েতগুলির কর আদায় বন্ধ ছিল। যাঁরা সেই কর আদায় করে পঞ্চায়েতে জমা করত এবং সেই বাবদ কমিশন পেতেন তাঁদের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু তাঁদের পরিস্থিতি ততটা বদলায়নি বলেই জানিয়েছেন কর আদায়কারীরা। কারণ কর আদায় বাড়েনি বা সেই কাজে গতি আসেনি এখনও। সেইসঙ্গে নতুন একটি সমস্যা যুক্ত হয়েছে বলেই জানা গেছে। যেখানে এই পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত মোটা টাকার বিনিময়ে নতুন করে কর আদায়কারী নিয়োগ করছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের রোজগারও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সেইসঙ্গে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনে এবং ব্যক্তিস্বার্থ মেটাতেই এই নিয়োগ হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। আর তাই এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ করুক, সেটাই আপাতত চাইছেন আদায়কারীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে ‘গ্রাম পঞ্চায়েত ট্যাক্স কালেক্টিং সরকার’ নামে যে পদ রয়েছে, সেই পদে কর্মরত ব্যক্তিরা সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি ও জমির কর আদায় করেন। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় কোনও কোনও পঞ্চায়েত এর সঙ্গে তাদের দিয়ে ট্রেড ট্যাক্স বা ব্যবসায়িক করও আদায় করায়। আর সেখানে বর্তমানে তাঁদের এই কাজের জন্য বেতন মাসে মাত্র ছ’শো টাকা। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই ট্যাক্স কালেক্টরদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারী সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, এর সঙ্গে তাঁরা কমিশন পান। যেমন, সেখানে ছ’হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতে পারলে ১০ শতাংশ কমিশন পাওয়া যায় বলেও জানান হয়েছে। তার উপর ছয় থেকে আট শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি আদায় করলে বর্ধিত অংশের উপর ১৫ শতাংশ কমিশন পাওয়া যায় বলেও জানা গেছে। যেখানে একই হারে আদায়ের পরিমাণ আট শতাংশ হলে কমিশন পাওয়া যায় ২০ শতাংশ। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে যে আদায়ের পরিমাণ এতই কম, যে তা সংসার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই দাবি করেছেন সমিতির সদস্যরা। সেখানে ওই ছ’শো টাকাও অনিয়মিত বলেও জানা গেছে। তাই তাঁদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছেন, সেখানে সরকারেরই কাজে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের বেতন বা প্রাপ্য টাকার অঙ্ক বাড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। আর তাই তা দেখে তাঁদের আশা যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দিকটাও নিশ্চয়ই একটু বিবেচনা করে দেখবেন। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -