‘রহস্য’ বাড়িয়ে মুখ খুললেন ভারতী ঘোষ, অপেক্ষা ‘ঠিক সময়ের’ বিশেষ খবর রাজ্য January 20, 2018 একদা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে হঠাৎ করে বড়দিনের রাতে সরিয়ে দেওয়া হয়, পাঠানো হয় অনেক কম গুরুত্ত্বপূর্ন এক পদে। আর সেই পদ গ্রহণ না করে সোজা ইস্তফা দিয়ে বসেন তিনি। নাম না করে শাসকদলের অনেক শীর্ষনেতাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনি নাকি বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সবং উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। আর তাই শুধু ভারতী ঘোষকেই নয়, একে একে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের, শুধু তাই নয় ভারতী ঘোষ সহ সেইসব পুলিশ অফিসাররা যে কতটা ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ সযত্নে তাও প্রচার করা শুরু হয়। কিন্তু এসব সত্ত্বেও একবারের জন্যও মুখ খোলেননি তিনি। কিন্তু এইপ্রথম ভারতী ঘোষ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে সেই ‘অভিযুক্ত’ পুলিশ কর্তা এবং কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেই মুখ খুললেন। একই সঙ্গে ‘রহস্য’ বাড়িয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তিনি আবারও মুখ খুলবেন, তবে ‘ঠিকঠাক সময়ে’। ওই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ভারতী দেবী ওই অফিসার বা কর্মীরা কী ভাবে নিজেদের ‘প্রাণ বিপন্ন করে’ জঙ্গলমহলে পুলিশ বিভাগের জন্য কাজ করেছেন, তারই একটা ছোট খতিয়ান তুলে ধরেছেন বলে সূত্রের খবর। তিনি লিখেছেন, আম জনতার সঙ্গে কথা না বলেই অনেকে যা ইচ্ছে তাই লিখছেন। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে যান এবং কথা বলুন। ওঁরাই আপনাদের বলে দেবে, ভারতী ঘোষ কে? ওঁরাই আপনাকে বলে দেবে ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মাওবাদী প্রভাবিত অঞ্চলগুলোতে কী কী ঘটেছে। তিনি আরো লিখেছেন, মাওবাদীদের এক শীর্ষ নেতাকে ধরতে গিয়েছিলাম ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়ায়। আমাকে সাহায্য করতে গিয়ে রাজশেখর (খড়্গপুর লোকাল ওসির পদে থাকা রাজশেখর পাইন) সে দিন নিজের প্রাণের মায়াটুকুও করেননি। কী ভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন ওই অফিসার আর আমিই জানি। তবে, আমরা ওই মাওবাদী নেতাকে ধরতে পেরেছিলাম। নেকরাবিন্দায় মাওবাদীদের সঙ্গে গোলাগুলির দিন সন্তোষ (খড়্গপুরের এসডিপিও পদে থাকা সন্তোষ মণ্ডল) গুলিবিদ্ধ হতে হতে বেঁচে যান। অন্য এক মাওবাদী শীর্ষ নেতাকে ধরতে গিয়েছিলাম ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত এক জায়গায়। সুজিত (ভারতীদেবীর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল) সেখানে আমাকে যে ভাবে সাহায্য করেছিলেন, ভুলব না! প্রাণের তোয়াক্কা করেননি ওই পুলিশ কর্মী। অল্পের জন্য সুজিত সে দিন বেঁচে গিয়েছিলেন, ওই মাওবাদীকেও আমরা পাকড়েছিলাম। এই অফিসারদের ইতিহাসটাই এমন। ওঁদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আর এরপরেই কার্যত ‘রহস্য’ চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে তিনি লিখেছেন, মুখ আমি খুলব, তবে ঠিক সময়ে। ফলে সাক্ষ্যেই কার্যত এক্ষন তাকিয়ে কখন ভারতীদেবীর সেই ‘ঠিক সময়’ উপস্থিত আসে সেই দিকেই। কী নিয়ে বলবেন মুখ্যমন্ত্রীর এক সময়ের ঘনিষ্ঠ এই আইপিএস সেদিকেই তাকিয়ে শাসক-বিরোধী সকলেই। আপনার মতামত জানান -