এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মোদী-শাহের, জেনে নিন কারণ

বিধানসভা নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মোদী-শাহের, জেনে নিন কারণ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে রয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি জোট বেঁধেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউএর সঙ্গে। একসময় এনডিএ জোটের শরিক ছিল এলজেপি দলটিও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতান্তর, ক্ষোভের ফলে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসে এলজেপি। এরপর গত ৮ ই অক্টোবর এলজেপির প্রতিষ্ঠাতা রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র চিরাগ পাসোয়ান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন।

কিছুদিন আগেই তিনি একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কোন সান্ত্বনা জানাননি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, পিতা রামবিলাস পাসোয়ানের মৃতদেহ যখন দিল্লি থেকে পাটনাতে বিমানে আনা হয়েছিল। সেসময় নীতিশ কুমার বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম পর্যন্ত করেছিলেন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছিলেন।

আজ সোমবার চিরাগ পাসোয়ানের পাশে দাঁড়ালেন আরজেডি দল নেতা তেজস্বী যাদব। এ প্রসঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব জানালেন, ” চিরাগ পাসোয়ানের প্রতি নীতীশ কুমারজি যে ব্যবহার করেছেন, তা ঠিক নয়। এই সময় চিরাগের পাশে তাঁর বাবা থাকলে ভাল হত। কিন্তু রামবিলাস পাসোয়ানজি এখন আমাদের মধ্যে নেই। নীতীশ কুমারজি চিরাগের প্রতি অবিচার করেছেন।” অনেকে মনে করছেন যে, রাজনৈতিক চাল খাটাতেই চিরাগ পাসোয়ানকে সমর্থন করেছেন তেজস্বী যাদব। প্রসঙ্গত রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে একসময় লালু প্রসাদ যাদবের রাজনৈতিক সখ্যতা ছিল, সে সময় তাদের সহযোগী ছিলেন নীতিশ কুমারও। রামবিলাস পাসোয়ান এর মৃত্যুর পর লালু প্রসাদ যাদব, ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী শোকপ্রকাশ করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত তেজস্বী যাদব বিহারের রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। এই কেন্দ্রে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বিজেপি প্রার্থী সতীশ যাদব। অনেকে মনে করছেন, গোপন বোঝাপড়া করেই এই কেন্দ্র থেকে এক রাজপূত প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে এলজেপি। অনেকে মনে করছেন এই রাজপুত প্রার্থী আগামী নির্বাচনে বিজেপির ভোট কেটে তেজস্বী যাদবের জয়ের রাস্তাকে সহজ করে দেবেন। গত ২০১০ সালে সতীশ যাদব পরাজিত করেছিলেন রাবড়ি দেবীকে। তবে গত ২০১৫ বিজেপি প্রার্থী সতীশ যাদব তেজস্বী যাদবের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন।

এদিকে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিশেষ আনুগত্য দেখিয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর ছবি আমার লাগবে না। নরেন্দ্র মোদী আমার হৃদয়ে বিরাজমান। আমি হনুমানের মতো। আমার বুক চিরে শুধু মোদীজিকেই দেখা যাবে ” এ বিষয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ছবি নীতীশ কুমারের প্রয়োজন কারণ তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। অনেকে মনে করছেন বিজেপির প্রতি তাঁর অনুরাগ সম্পূর্ণটাই রাজনৈতিক কারণে। তিনি নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে ফাটল ধরার জন্যই এমনটা করছেন বলে অনেকের মত। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন যে, চিরাগ যে ধন্দ তৈরী করতে চাইছে সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ তিনি। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জেডিইউএর সম্পর্ক অটুট। চিরাগ শুধুমাত্র ভোট কাটুয়া হিসেবে থেকে যাবেন বিহারের রাজনীতিতে।

আবার অনেকের ধারণা করেছিলেন যে, চিরাগের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজেশ আছে। দুই দলের গোপন আলোচনার পরেই এলজেপি শুধুমাত্র জেডিইউএর বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তাদের পরিকল্পনা ভোটের পর বিজেপির আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার। তবে বিজেপি নেতৃত্ব তাদের সম্পর্কে এই ধারণা মুছে দিতে চায়। এ কারণে সুশীল মোদী জানিয়েছেন যে, রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আসবার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন চিরাগ পাসোয়ান। তাই বিজেপির প্রতি অনুরাগ দেখাচ্ছেন তিনি। কিন্তু নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে তিনি কুবাক্যের প্রয়োগ বন্ধ না করলে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!