Big Breaking, মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের সভা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শিশির অধিকারীর তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য January 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামীকাল সোমবার নন্দীগ্রামে জনসভা করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জনসভা গত ৭ ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির অসুস্থতার কারণে পিছিয়ে দেয়া হয় এই সভা। যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর আগামীকালের জনসভায় যোগদান করছেন না শিশির অধিকারী। নিজের এই সিদ্ধান্ত তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন। এমনকি অধিকারী পরিবারের কোনো সদস্যই যোগদান করছেন না এই সভাতে। শিশির অধিকারী যেমন এই সভায় যোগদান করছেন না, তেমনি তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারিও যোগদান করবেন না এই সভাতে। প্রসঙ্গত, একাধিক পদ হারিয়ে দলে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন শিশির অধিকারী। নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে এ প্রসঙ্গে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে। শিশির অধিকারী বলেছেন যে, তাঁরা হলেন লস্ট কেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী যে সভা করতে চলেছেন, এ বিষয়ে কেউ তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। তাই সভায় যাবেন না তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিপূর্বে গত মাসে কাঁথিতে সভা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন না শিশির অধিকারী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যোগদান করেননি। দিব্যেন্দু অধিকারি বাইরে থাকার কারণে যোগদান করেননি এই সভাতে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তাঁর যোগ না দেওয়া, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। ইতিপূর্বে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারিত করা হয়েছে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে। শিশির অধিকারীকে অপসারিত করা হয়েছে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে। এরপর তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকেও অপসারিত করা হয়েছে। এখন তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান। তবে, আগামী দিনে তিনি দল ছাড়বেন কিনা? এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত জানান নি। তবে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ ও আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অংশগ্রহণ না করার তাঁর সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। আপনার মতামত জানান -