এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big breking শহীদ বেদীকে নিজের বলে মদন, পার্থকে ‘বহিরাগত’ আক্রমণে শুভেন্দু!

Big breking শহীদ বেদীকে নিজের বলে মদন, পার্থকে ‘বহিরাগত’ আক্রমণে শুভেন্দু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রায়শই দাবি করা হয়, বিজেপির বহিরাগত নেতারা বাংলায় এসে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেক্ষেত্রে অমিত শাহ থেকে শুরু করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা বাংলায় দলের হয়ে কর্মসূচি করতে আসলে তাদেরকে “বহিরাগত” বলে আক্রমণ করতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার লালগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার নাম করে তাদের বহিরাগত আক্রমণ করে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বস্তুত, তৃণমূলে থাকার সময় থেকেই প্রতিবছর 7 জানুয়ারি দিনটিকে নন্দীগ্রামের শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এতদিন তৃণমূলের নেতা হিসেবে তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেও, এই বছরটা সম্পূর্ণ আলাদা। সম্প্রতি তিনি যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ম মেনে বৃহস্পতিবার সকালে লালগড়ে গিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় সেই শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে শুভেন্দু অধিকারী এতদিন তৃণমূলের হয়ে এই অনুষ্ঠান করলেও, এবার বিজেপি নেতা হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। যার পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস‌।

যেখানে বুধবার রাতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে শহীদ দিবস পালন করা হবে। যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্রের মত রাজ্যের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের রীতিমত “বহিরাগত” বলে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, এদিন লালগড়ের নেতাইয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বহিরাগত ওরাও। শহীদ বেদী রয়েছে গ্রামে। সেটি আমার প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে। আজ নেতাই ঢুকতে গিয়ে যা দেখলাম, তা এলাকার মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। গোটা রাস্তায় তৃনমূলের পতাকায় মুড়িয়ে দিয়েছে। যা খারাপ লাগছে। আমি যতদিন ধরে এখানে আসছি, কোনোদিন দলের পতাকা ব্যবহার করিনি। আজকেও বিজেপি নেতারা এসেছেন। কিন্তু দলের পতাকা নিয়ে নয়। যারা কোনোদিন আসেননি, খোঁজ নেননি, তার আজকে আসছেন। সব রাজনৈতিক দলের লোকেরা শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। আমি কোনোদিন এখানে রাজনীতি করিনি। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। নেতাই গ্রামের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। কারও বাড়িতে চাকরি দেওয়ার মত ক্ষমতা আমাকে তৎকালীন সরকার দেয়নি। সীমিত ক্ষমতায় আমি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া এবং স্বনির্ভর করে তোলার জন্য সেলাই মেশিন দিয়েছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তৃণমূল এতদিন এই নেতাই গ্রামে সেখানকার মানুষদের খোঁজখবর নেয়নি। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগদান করতেই এখন এলাকার ক্ষমতা দখল করার জন্য এবং প্রভাব বিস্তার করার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে কলকাতার নেতারা এখানে ছুটে আসতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যখন রাজ্যে আসছেন, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদেরকে “বহিরাগত” বলে আক্রমণ করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এদিন নেতাই গ্রামে যখন কলকাতার তৃণমূল নেতারা আসছেন, তখন তাদেরকেও পাল্টা “বহিরাগত” বলে আক্রমণ করে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে নেতাইয়ের শহীদ দিবসে তৃণমূল বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই সবথেকে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের যখন তিনি হেভিওয়েট নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন, তখন প্রতি বছর এই দিনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে উপস্থিত থাকতেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও তার অবস্থান যে পাল্টায়নি, এদিন সেই শহীদদের সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু। পাশাপাশি তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এটাও বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ এই দিনটিতে আসেননি। কিন্তু এবার তাদেরকে আসতে হচ্ছে।

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তিনি বিজেপিতে যাওয়ার সাথে সাথেই চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস‌। তাই এখন শহীদদের প্রতি দরদ দেখাতে শাসকদলের কলকাতার নেতারা এখানে এসে উপস্থিত হচ্ছেন। যার সুযোগ নিয়ে সেই সমস্ত নেতাদের কার্যত “বহিরাগত” বলে সরব হতে দেখা গেল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যের জবাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি বলা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!