এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজ রাজ্যে অটল বিহারীর স্মরণসভা – মুখ্যমন্ত্রী সহ বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের বড় সিদ্ধান্ত

আজ রাজ্যে অটল বিহারীর স্মরণসভা – মুখ্যমন্ত্রী সহ বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের বড় সিদ্ধান্ত


প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার জন্য রাজ্য-বিজেপি নিজেদের উদ্যোগে আজ মহাজাতি সদনে একটি স্মরণসভার আয়োজন করেছে। কিন্তু সে সভায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধীদল বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসিরাও। সমস্ত বিজেপি বিরোধী দল জোট বেঁধে একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জেরে বঙ্গ-বিজেপি বিড়ম্বনায় পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

যদিও এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। তেমনটাই প্রকাশ পেল রাজ্য পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। তিনি জানালেন, অটল বিহারী বাজপেয়ির মতো সর্বজনগ্রাহ্য প্রধানমন্ত্রীর স্মরণসভায় বিজেপির তরফ থেকে সব দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের কাজ তাঁরা করেছেন – এখন কারা এলেন বা কারা এলেন না, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।

তবে এই নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠে গেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেরই প্রশ্ন – মতাদর্শের দিক দিয়ে বিজেপির থেকে বিপরীত দিকে অবস্থান করা বাম, কংগ্রেস, তৃণমূলের দিল্লি পর্যন্ত ছুটেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর মরদেহকে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে। এমনকী তাঁদের অনেকেরই প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন রাজধানীতে আয়োজিত বিজেপির জাতীয় স্মরণসভায়। তবে এখন কেন রাজ্য বিজেপির আয়োজিত প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার বাড়তি তাগিদ দেখাতে অনিচ্ছুক তাঁরা?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই স্মরণসভায় যাওয়া নিয়ে আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, আগেই তৃণমূলের তরফ থেকে বাজপেয়ীজিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রয়াণে দিল্লি গিয়েছিলেন। এ রাজ্যেও রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়েছে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই। আলাদা করে কোনো স্মরণসভায় আর যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করছেন না।

এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাজাতি সদনের দিকে পা বাড়াবেন না আজ – এমনটাই জানা গিয়েছে শাসকশিবিরের তরফে। তবে স্মরণসভায় যাওয়া নিয়ে খানিকটা দ্বন্দ্বে ছিল বাম এবং কংগ্রেস শিবির। অতীতে তাঁরা বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রীর মতো বিজেপি নেতার স্মরণসভায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। এখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো ওজনদার বিজেপি নেতার স্মরণসভায় প্রতিনিধি পাঠাবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধা ছিলেন তাঁরা।

আর তাই দুই শিবিরই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে একে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল বলে সূত্রের খবর। আর তারপরেই দুই দলের প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে শলা পরামর্শ করে না যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিলেন শেষ পর্যন্ত। প্রকাশ্যে অবশ্য, তৃণমূলের মতোই একই কারণ উল্লেখ করলেন তাঁরাও।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির উত্থান ঘটেছে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ট রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে। আর তা বেশ মাথা ব্যাথার কারণ হয়েছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর। বিজেপির মেরুকরণ রাজনীতির বিরুদ্ধে তাঁরা একত্রে সমালোচনায় গলাও মিলিয়েছে। এমতাবস্থায় লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের মানুষের কাছে যাতে ভুল বার্তা না যায় তার জন্য আগে থেকে সতর্ক পদক্ষপে নিচ্ছে অ-বিজেপি দলগুলি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!