পাশে আছেন বিধায়ক? দলীয় সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিজেপির সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত তৃণমূল নেতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি August 29, 2018 মেয়ো রোডের দলীয় ছাত্র সংগঠনের সভামঞ্চ থেখে যখন দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিচ্ছেন তৃনমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তখনই সেই চরম শত্রু বিজেপির সমর্থন নিয়েই প্রধান হওয়ার ঘটনায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হল বলাগড়ের ডুমুরদহ-নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। সূত্রের খবর, 15 আসনবিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে এবার তৃনমূল 6, বিজেপি 6, বাম 1 এবং নির্দল দুটি আসন পায়। প্রশাসনের তরফে বোর্ড গঠনের নির্দেশ পাওয়ার পরই গত 19 আগষ্ট জয়ী সদস্য, বুথ সভাপতি এবং অঞ্চলের নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠকেও বসে শাসকদল। আর সেইখানেই প্রধান পদে সঞ্জীব দাস এবং উপপ্রধান পদে পূর্নিমা সোরেনকে বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। আর এরপরই তৃনমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য রথীন দাস বিজেপির সমর্থন নিয়ে এখানে প্রধান হলে চরম বিপাকে করে তৃনমূল। জানা যায়, এই রথীন দাস বলাগড়ের বিধায়ক অসীম মাঝির অনুগামী। এ প্রসঙ্গে এই পঞ্চায়েতেরই এক তৃনমূল সদস্য শ্যামল বাউলদাস বলেন, ” দলের 6 সদস্য এবং দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে এখানে প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বিধায়কের মদতে এই রথীন দাস বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের মুখ পোড়াল।” ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি দলের জেলা সভাপতি, সাংসদ এবং জেলা পর্যবেক্ষককেও জানিয়েছে এলাকার তৃনমূল নেতৃত্ব। তবে শুধু অভিযোগ জানানোই নয়। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এহেন দলবিরোধী কাজের জন্য সেই বিধায়ক ও তাঁর অনুগামী রথীন দাসের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক অসীম মাঝি বলেন,” গ্রাম পঞ্চায়েতে থেকে আমাকে কোনও রেজুলেশন পাঠায়নি। তাই সঠিক সময়েই বোর্ড গঠন হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না।” রাজনৈতিক মহলের মতে, নেত্রীর মুখে যখন বিজেপি বিরোধীতার সুর, ঠিক তখনই সেই বিজেপির সমর্থন নিয়ে তৃনমূল সদস্যের প্রধান হওয়ায় যেন শাসকদলের রননীতি ফুটো কলসীর চেহারা নিল। আপনার মতামত জানান -