প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে করোনা মোকাবিলা এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ, এই দুইয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সর্বস্ব হারিয়ে যাওয়া মানুষদের পাশে থাকতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। রেশনের মাধ্যমে তাদের চাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই অভিযোগ করা হচ্ছে যে, ভয়াবহ দুর্যোগে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ত্রান বিলি নিয়ে চরম দুর্নীতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছেন বিজেপি নেতারা।

ইতিমধ্যেই বাংলার 18 টি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন। আর এবার ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সূত্রের খবর, এদিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় সরব হন এই বিজেপি সাংসদ।

তিনি বলেন, “বিজেপি চুপ রয়েছে বলে এর মানে এই নয় যে, আমরা হাতে চুড়ি পড়ে বসে রয়েছি। এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাহায্য পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল, খাবার দেওয়া হচ্ছে না।” আর এরপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় এই বিজেপি সাংসদকে‌।

তিনি বলেন, “এলাকায় সন্ত্রাস তৈরীর চেষ্টা হলে মেনে নেওয়া হবে না। বিজেপি চুপ আছে বলে এই নয় যে, তারা হাতে চুড়ি পড়ে বসে আছে। প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” পাশাপাশি কেন্দ্রের দেওয়া 1000 কোটি টাকা কোন খাতে খরচ হল, সাধারন মানুষ তার জবাব চাইবেন বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে ইতিমধ্যেই বিজেপি ময়দানে নেমে পড়েছে। আর শাসকদলের বিরুদ্ধে এখন তাদের প্রধান ইস্যু ত্রাণ বিলিতে বিরুদ্ধে দুর্নীতি। বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদরা এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর তার এলাকায় মানুষ ঠিকমত ত্রাণ পাচ্ছে না বলে যেভাবে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, তাতে শাসক-বিরোধী তরজা এখানে চরম আকার নেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।