এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > সীমান্তে চূড়ান্ত উত্তেজনা, আত্মনির্ভরের ডাক, তবু বরাত চীনা কোম্পানিকে! বড়সড় অস্বস্তিতে মোদী

সীমান্তে চূড়ান্ত উত্তেজনা, আত্মনির্ভরের ডাক, তবু বরাত চীনা কোম্পানিকে! বড়সড় অস্বস্তিতে মোদী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো নয়, তা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু এখন উত্তেজনা থেকে শুরু করে চীনের সামগ্রী বর্জন করা, ভারত থেকে চীনের প্রভাব কমছে না কিছুতেই। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিল্লি-মেরঠ হাইস্পিড রেল করিডোরের বরাত দেওয়া হচ্ছে এক চীনা কোম্পানিকে। যা নিয়ে এখন প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর বিরোধীদের তরফ থেকে এই ব্যাপারে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে তোলা হচ্ছে প্রশ্ন।

যেখানে মুখে চীনের বিরোধিতার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কেন চিনা কোম্পানিকেই কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে! তা নিয়ে নানা মহলে তরফে সোচ্চার হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছে। আর এতেই প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লি-মেরাট রিজিওনাল রাপিড ট্রানজিট সিস্টেম প্রোজেক্টের আন্ডারগ্রাউন্ড বানানোর জন্য চীনের একটি কোম্পানি টেন্ডার দাখিল করেছিল।

আর বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সকলেই চিনের দ্রব্য বাতিলের কথা বলছেন, ঠিক তখনই সেই কোম্পানিকে 1000 কোটি টাকার বরাত তুলে দেওয়া হল ভারতের পক্ষ থেকে। যা নিয়ে আপন তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই স্বদেশী জাগরণমঞ্চের রাষ্ট্রীয় সহ সংযোজক অশ্বিনী মহাজন সড়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, এই বরাতকে যেন দ্রুত স্থগিত করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ চীনকে নয়, ভারতের কোনো কোম্পানির হাতে যেন তা তুলে দেওয়া হয়, তার ব্যাপারে দাবি জানিয়েছে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

শুধু তাই নয়, যেখানে ভারতের পক্ষ থেকে আত্মনির্ভর হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কেন চীনের ওপর এই নির্ভরশীলতা! তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে এই মঞ্চকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সত্যিই তো তাই! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বর্তমানে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা বলছেন। সেক্ষেত্রে যে চীনের সঙ্গে তাদের এত শত্রুতা এবং যে চীন তাদের ক্ষতি করছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেই চীনের হাতেই কেন বরাত দেওয়া হচ্ছে! এটা কি দেশের অস্বস্তি এবং বিপদ দুই ডেকে আনবে না!

এদিকে বিরোধীদের তরফ থেকে এই ব্যাপারে সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতের রেল করিডোরের বরাত চীনা কোম্পানির হাতে দিতেই রীতিমতো ভারত সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বিভিন্ন মহল। এখন শেষ পর্যন্ত ভারত এই সিদ্ধান্তের পিছু হটে নতুন কাউকে‌ এর বরাত দেয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!