এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দু-সপ্তাহেই রাজ্যে আক্রান্ত দ্বিগুন! পরিযায়ীদের হাত ধরে বাড়ছে হুহু করে! আগামী ১ মাস কঠিন?

দু-সপ্তাহেই রাজ্যে আক্রান্ত দ্বিগুন! পরিযায়ীদের হাত ধরে বাড়ছে হুহু করে! আগামী ১ মাস কঠিন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতীয় যখন করোনা ভাইরাস প্রবেশ করল, তখন পশ্চিমবঙ্গে অতটা এর দাপট দেখা যায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরত আসতে আসতেই বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হু করে বাড়তে থাকে। জানা গেছে, গত 15 দিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে 56 শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে এই শ্রমিকদের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস গোষ্ঠী সংক্রমনের আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অনেকে বলছেন, আগামী দেড় মাসের মধ্যে যদি রাজ্যের সংক্রমণ 50 হাজারের মধ্যে আটকে রাখা যায়, তাহলে সেটা বড় সাফল্য হবে। কিন্তু যদি তা না সম্ভব হয়, তাহলে দুর্দিন আসন্ন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে, গত 31 মে রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল 5501 জন, 14 জুন তা বেড়ে হয়েছে 11 হাজার 494 জন।

অর্থাৎ প্রায় 14 দিনে নতুন করে 5 হাজার 993 জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আরে পাঁচ হাজার 993 জন এরমধ্যে 3358 জন পরিযায়ী শ্রমিক বলে খবর। ফলে অন্য রাজ্য থেকে লকডাউনের কারনে আসতে না পারা পরিযায়ী শ্রমিকরা এবার লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে রাজ্যে আসাতেই যে ক্রমাগত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে নিশ্চিত সকলেই। অর্থাৎ রাজ্য এতদিন নিরাপদ থাকলেও, এর পেছনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংক্রমণ দায়ী বলে মনে করছেন একাংশ।

আশঙ্কার কারণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে যে, প্রথমদিকে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, কোচবিহার, 2 দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ার জেলা গ্রীনজোনে থাকলেও, পরিযায়ী শ্রমিকরা আশায় এখন সেই সব জেলায় হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী করোনা এক্সপ্রেস বলেছেন কিনা, তা নিয়ে বহু সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলো এসেছে করোনা নিয়েই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, “উপসর্গহীন সংক্রমিত শ্রমিকদের হোমে রেখেই সুস্থ করা হবে। তারা তরতাজা এবং কম বয়সী। তাদের অন্য কোনো রোগ নেই। ফলে সাত দিনের মধ্যেই কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। শুধু উপসর্গহীন আক্রান্তরা যাতে গ্রামের অন্যদের মধ্যে রোগ ছড়াতে না পারেন, অগ্রাধিকার দিয়ে সেটাই দেখতে বলা হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়া খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়।

কিন্তু একসাথে যদি বহু মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে চিকিৎসা পরিষেবায় অনেকটাই প্রভাব পড়বে। যার ফলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে আসার পর যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সেই আক্রান্তদের মাধ্যমে যাতে গোষ্ঠী সংক্রমনের আকার না নেয়, এখন সেই দিকটাতেই প্রধান লক্ষ্য রাখছে রাজ্য প্রশাসন। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!