এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েও পুলিশের মামলার জালে বনধ সমর্থনকারীরা

পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েও পুলিশের মামলার জালে বনধ সমর্থনকারীরা


গতকাল অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল শিলিগুড়িতে বামেদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। আন্দোলনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করা হলে পরিস্থিতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আরো। বাধা দিতে যায় পুলিশ। সেসময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিও হয় আন্দোলনকারীদের। ধস্তাধস্তির সময় কুশপুতুল পোড়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া কেরোসিন তেলের কয়েক ছিটে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীদের গায়ে লাগে। সেটাকে হাতিয়ার করেই বামেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যায় পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ,বাম আন্দোলনকারীরা পুলিশ কর্মীদের জীবন্ত পোড়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এ অভিযোগ শোনার পরই পাল্টা প্রশ্ন তুলে বামেরা জানায়, আন্দোলনকারী যদি পুলিশের পুড়িয়েই মারতে চাইবে,তাহলে জল দিয়ে পুলিশ কর্মীদের সাহায্য করেছিল কেন? বাম নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন,আন্দোলনে কুশপুতুল পুড়বে এটাই তো স্বাভাবিক,পুলিশ বাধা দিতে যাবেই বা কেন? আর পুলিশকে যদি বামেরা পুড়িয়ে মারার চেষ্টাই করে থাকে তাহলে পুলিশ লাঠচার্জ করল না কেন? আর সবথেকে যুক্তিগ্রাহ্য প্রশ্ন যেটি সেটি হল-বামেরা যদি পুলিশকে পুড়িয়ে মারারই চেষ্টা করে থাকে তাহলে পুলিশ কেন বামেদের কাছে এসে জল নিলেন?

এ প্রসঙ্গে যুক্তিতে মেয়রের বক্তব্য,এসএসআই এর জেলা সম্পাদক নেতা সাগর শর্মা মিছিলেই ছিলেন ঘটনার সময়। তিনিই এগিয়ে এসে পুলিশদের জল দেন। সেই জলেই চোখমুখ ধুয়ে নিয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সেই পুলিশই আবার যে ন’জন বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন, তার মধ্যে সাগর শর্মারও নাম আছে অপ্রত্যাশিতভাবে। এ প্রসঙ্গে খোদ সাগর শর্মা জানান, তিনিই ঘটনার সময় এগিয়ে গিয়ে কয়েকজন আইসিকে জল দেন। অথচ পুলিশ যে মামলা দায়ের করেছে তাতে বয়ানে লিখেছে,সাগর শর্মাই নাকি পুলিশকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। পুলিশ কর্মীদের জল দেওয়ার ভিডিওটিও প্রকাশ্যে আসে। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে জলের জন্য মাথা নীচু করে আছে দুই পুলিশ কর্মী। এই ছবিই তো প্রমাণ পুলিশ মিথ্যা কথা বলছে, দাবী বাম নেতা-কর্মীদের।

উল্লেখ্য,পুলিশের তরফ থেকে অশোক ভট্টাচার্য,কাউন্সিলর জয় চক্রবর্তী,বাম শরিক নেতা তাপস চ্যাটার্জী,সাগর শর্মা সুপ্রীতি আশ সহ আরো নজনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআরে আরো ১০০ জন বাম কর্মীর নাম ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশকে খুনের চেষ্টা সহ বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনটাই আদালত সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে বাম নেতাদের যুক্তির পর পুলিশের তরফ থেকে এখনো কোনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বামেদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই মিথ্যা মামলা দায়ের করার পেছনে তৃণমূলের হাত আছে বলেই মনে করছে বামশিবির। তাঁদের মদত না পেলে পুলিশ এতো মিথ্যা নিয়ে তান্ডব করতে পারতো না বলেই দাবী তাদের। অন্যদিকে,বামেদের এই দাবীটাও সত্যি প্রমান করে পুলিশের সমর্থনেই কথা বলতে দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূক নেতৃত্বকে। তাঁর বক্তব্য,পুলিশের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই খুনের চেষ্টা করা হয়েছে তাই পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। আর সিপিএমদের দাবীগুলো আংশিক সত্য বলেই মন্তব্য,করলেন তিনি। বললেন,বামেরার হামলা চালিয়েছিল এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। শিলিগুড়ির পরিস্থিতি আপাতত থমথমে হয়ে আছে বাম-পুলিশের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের জেরে। বামেদের বিরুদ্ধে মামলার জল কতদূর গড়ায় সেটা নিয়েই টানটান উত্তেজনা রয়েছে উভয় শিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!