এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমর্থন জানিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ হেভিওয়েট বাম নেতার

মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমর্থন জানিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ হেভিওয়েট বাম নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি জানিয়ে সল্টলেকের সিটি সেন্টারের কাছে চলছে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ, অনশন কর্মসূচি। বেশ কয়েকবার মিছিল করেছেন তাঁরা। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বিভিন্ন বিরোধী নেতৃত্ব। গতকাল ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্‌ড আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলন মঞ্চে গিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী। গতকাল সুজন চক্রবর্তী মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন ও একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে।

বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দপ্তরেরই খতিয়ান দেওয়ার সাহস নেই। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মাদ্রাসা দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রী হয়েও তিনি মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে কোমায় নিয়ে গেছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে নামিয়ে এনেছেন রাস্তায়। সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, যেখানে অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকারা ৩৪ দিন ধরে রাস্তার উপরে শুয়ে আছেন, সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আধিকারিককে পাঠানো হয়নি। যা চূড়ান্ত অমানবিকতার প্রমাণ বলেই তার দাবি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী জানালেন যে, সংখ্যালঘু শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে এটি এক ধরনের স্বৈরাচার। প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বাম সরকারের সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, শ্রীকৃষ্ণের শতনামের মতই বাম সরকারের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের অনেকের এখন আর কোনো ভূমিকা নেই। তবে যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁদের দাবিও পূরণ করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানালেন যে, শিক্ষামন্ত্রীর জেনে রাখা প্রয়োজন যে, বিভিন্ন রাজ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের আওতায় পার্শ্বশিক্ষক, এমএসকে, এসএসকে সহ নানা ধরনের শিক্ষক নেওয়া হয়েছিল। শুধু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই তা হয়নি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এদের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, সেই প্রতিশ্রুতির কি হলো? শিক্ষকেরা সেই প্রতিশ্রুতির কথা জানতে চাইছেন। তিনি জানালেন, সরকারে থাকলে দায়িত্ব নিতে জানতে হবে।

বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন করেছেন যে, অতিথি শিক্ষক, সিভিক ভলেন্টিয়ার যাদের তৃণমূল জমানায় নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের অবস্থা কি সব ঠিক আছে? সে ব্যাপারটি কি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়? প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!