নন্দীগ্রামের পর এবার ভবানীপুর, মুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া আসনে অতিরিক্ত সুবিধা কি পাবে তৃণমূল? কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য April 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম থেকেই এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম এবং ভবানীপুর নিয়ে চলেছে ব্যাপক টানাপোড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের বহুদিনের আসন ভবানীপুর ছেড়ে চলে গিয়েছেন প্রথমবার প্রার্থী হতে নন্দীগ্রামে। সেক্ষেত্রে ভবানীপুরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘদিনের বর্ষীয়ান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যা্যের কাঁধে। অন্যদিকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের হয়ে এই প্রথমবার তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম পেরিয়ে ফোকাস এখন ভবানীপুরে। ভবানীপুর বরাবরই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কিছুটা পালাবদলের ইঙ্গিত মেলে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বুথ মিত্র ইন্সটিটিউশনে 2019 এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বেশ আত্মবিশ্বাসী এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এবং সেক্ষেত্রে তিনি মনে করেন যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া আসন, তাই তিনি এক্সট্রা অ্যাডভান্টেজ পাবেনই। পাশাপাশি ভবানীপুর এলাকার সঙ্গে তাঁর পরিচিতি আজকের নয়, বহুদিনের। এলাকার বহু কাজে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বলে তিনি দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের যে 6 টি ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল সেই, ওয়ার্ডগুলিতে এবার অতিরিক্ত নজর দেওয়া হয়েছে। মূলত অবাঙালী ওয়ার্ড ভবানীপুরের 63, 70 এবং 74 নম্বর ওয়ার্ড, যেগুলি ধরে ধরে লিড পায় বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে এই সমস্ত ওয়ার্ড থেকে কিভাবে আবার মানুষকে তৃণমূলমুখী করা যায়, তা গোপন বৈঠকে ছক প্রস্তুত করেছেন ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের যে সমস্ত বুথে তৃণমূল বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল সেইগুলিকে মার্কিং করেছেন ফিরহাদ হাকিম। যেখানে ফলাফল হয়েছিল ফিফটি-ফিফটি, সেখানে যাতে এবার 100% তৃণমূলের পক্ষে ভোট আসে তার লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রুদ্রনীলকে তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীর কাছে বহিরাগত প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের কাছে অন্যতম তুরুপের তাস বলে মনে করা হচ্ছে। ভবানীপুরের বেশকিছু আসন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতের তালুর মতো চেনা। সেক্ষেত্রে এই সমস্ত ওয়ার্ডগুলো থেকে অতিরিক্ত সুবিধা অবশ্যই পাবে তৃণমূল বলে দাবী করা হচ্ছে। পাশাপাশি শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নিজেও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বসে নতুন স্ট্র্যাটেজি ঠিক করছেন বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে নন্দীগ্রামের পালা শেষ। এবার নজর ভবানীপুরের দিকে। নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতন হেভিওয়েটদের লড়াই শেষ হয়েছে। এবার প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর আসনে আর এক হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মত রাহনৈতিক ব্যক্তিত্বকে কি টেক্কা দিতে পারবে প্রথমবারের বিজেপি তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ? প্রশ্ন যাই হোক না কেন, উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 2 রা মে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -