রণক্ষেত্র বীজপুর, শুভ্রাংশুর খাসতালুকে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদকে হেনস্থার অভিযোগ, বাড়ছে জল্পনা কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 30, 2020 এখনো চলছে লকডাউন, কিন্তু তার মধ্যেও থেমে নেই রাজনীতি সে তার মতো জাল বিছিয়ে চলছে। অনেক ঘটনা ঘটছে চারিদিকে তার মধ্যে আজ নতুন এক খবর সামনে এলো। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানার অন্তর্গত হালিশহর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের খাসবাটি এলাকা।যার জেরে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনা এখনই শেষ নয়, স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, এই শুক্রবার রাতভর রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলে। বিজিপির অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী পরিমল কুণ্ডুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর করে পাশাপাশি ওই বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধ বাবার মাথা ফাটিয়ে দেয়। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এদিকে এই খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে খাসবাটি এলাকায় যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়, তিনি চলে আসা মাত্রই ফের বিজেপি তৃণমূলে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে মাঝরাস্তা থেকেই ফের এলাকায় যান তিনি।অভিযোগ এইসময়, সেই সময় অর্জুন সিংয়ের গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় বীজপুর এলাকার এক তৃণমূল নেতার গাড়ি। তাতেই ফের ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যান । আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সাংবাদিকদের বলেন, “এক লোহা চোর এখন বীজপুরের তৃণমূল নেতা হয়েছে, তাকে পুলিশ এসকর্ট দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তার কত সাহস সে আমার গাড়িকে আটকে দিচ্ছে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমার উপর হামলা করার পরিকল্পনা চলছে । আজ ও সেই চেষ্টা হল । আমার গাড়ি আটকে দেওয়ার মানে কি ? পুলিশের সামনে আমাদের কর্মীরা মার খাচ্ছে । আমি জানি পুলিশকে জানিয়ে লাভ নেই । তবুও আইনত আমরা আজকের বিষয়টা পুলিশকে জানাচ্ছি ।” এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে হালিশহর পুরসভার পৌর প্রশাসক অংশুমান রায় বলেন, “উনি ভুলে গেছেন উনি একজন সাংসদ। উনি এলাকায় দাদাগিরি করতে এসেছিলেন। জনতা উনার গাড়ি আটকে দিয়েছে । এখন উনি তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন । এখন মানুষ ঠিকমত খেতে পারছে না ।সেখানে উনি ভাঙচুর, হাঙ্গামা করে বেড়াচ্ছেন । এটা কি একজন সাংসদের কাজ ? আমাদের অনেক কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে । নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এটাই আশা করছি ।” এদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে ,চলছে পুলিশি টহল।তবে মুকুল পুত্রের খাস তালুকে এইভাবে বিজেপি নেতার উপরে হামলার ঘটনায় বাড়ছে জল্পনা। কেননা এখন মুকুল পুত্র বিজেপিতে আছেন সুতরাং তাঁর এলাকায় তাঁর দলের কর্মীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে এ ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছে। আপনার মতামত জানান -