বঙ্গে ভোট রঙ্গ: প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিল বিজেপির শাখা সংগঠন রাজ্য May 2, 2018 আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মনোনয়ন দলীয় অর্ন্তদ্বন্দ্বের পর এবার গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকেও একই দৃশ্য প্রকাশ্যে এলো। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানের ৩৬ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসন সহ গ্রাম ঞ্চায়েতের একটি বুথে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যে মনোনীত হয়েছেন আরএসএস প্রভাবিত বঙ্গীয় চা মজদুর সংঘের প্রার্থী। জানা গিয়েছে এলাকায় বিজেপির আসনে মনোনীত প্রার্থীরা আরএসএস প্রভাবিত বঙ্গীয় চা মজদুর সংঘের সদস্যদের অপছন্দের মানুষ হওয়ায় সংঘের সদস্যগণ বিজেপির তরফে নির্বাচনী প্রচার কার্যে অংশ গ্রহণ করবেন না। সংঘের এই সিদ্ধান্তের কথা রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংঘের বক্তব্য অনুয়ারী, এলাকার একটি পঞ্চায়েত সমিতি-সহ চারটি গ্রামপঞ্চায়েত আসনের প্রার্থী তালিকা পাঠানো হয়েছিল জেলা বিজেপির কাছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কিন্তু ওই তালিকার প্রার্থীদের কার্যত অগ্রাহ্য করে জেলা বিজেপি নিজেদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দিয়েছে। সেই কারণেই সংঘের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন বঙ্গীয় চা মজদুর সংঘের ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান ইউনিটের সম্পাদক পঞ্চু মুন্ডা বিজেপির জেলা নেতৃত্বকে দেওয়া সংঘ মনোনীত প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে বললেন, প্রার্থী তালিকা পাঠানোর পরে মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র অবধি পেশ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব তাদের তালিকার প্রতি নজর না দিয়ে জেলার দলীয় কার্যালয় থেকেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করে, তাদের দিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করিয়ে দিয়েছে। সংঘের চা বাগান ইউনিটের সম্পাদক জানালেন জেলা বিজেপির এই ধরনের কার্যকলাপে সংঘের লোকেরা স্বভাবতই অসন্তুষ্ট। তিনি বললেন, ”১৮/১৯৯ নম্বর বুথে তাদের প্রার্থীর পরিবর্তন করে বিজেপি তার প্রার্থীকে মেনে নিলেও বাকিদের মেনে নিতে পারছে না সংঘের কর্মীরা। যে কারণে ২০১ বুথ থেকে তাঁদের প্রার্থী দিলীপ ওঁড়াও এবং ৩৬ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসন থেকে মারিয়া খেড়িয়া নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। সেই সঙ্গে অন্য আসনগুলিতে বিজেপির প্রার্থীর হয়ে প্রচার না যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর সদর মণ্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক সুরেশ মাঝি বললেন, ”তিনি এই চা বাগানে বঙ্গীয় চা মজদুর সংঘের ইউনিট স্থাপন করেছিলেন। সেই দিক থেকে সংঘের পক্ষ থেকে যাদের নাম দেওয়া হয়েছিল তাঁরা সংঘের কর্মী। এদের জিতিয়ে আনলে বাস্তবে এলাকার উন্নয়নে কাজ হত। অন্যদিকে বঙ্গীয় চা মজদুর সংঘ আরো শক্তিশালী হত। এবার বিজেপির পক্ষ থেকে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তারা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।” অবশ্য জেলা বিজেপির সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী কথায়, ”বঙ্গীয় চা মজদুর সংঘ একটি সতন্ত্র ট্রেড ইউনিয়ন। তাঁরা কী করবে সেটা তাঁদের বিষয়।” আপনার মতামত জানান -