এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের” দাবি দিলীপ ঘোষের

“রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের” দাবি দিলীপ ঘোষের

রাজ্য রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কখনও ক্ষমতায় আসলে দেখে নেওয়া হবে তো কখনও বা এনআরসি প্রয়োগ করে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের বাংলা থেকে বিদায় করে দেওয়া হবে বলে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে আসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নুরপুর সংলগ্ন মাঠে সারা রাজ্যজুড়ে শাসক দলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা বিজেপির সভাপতি সন্দীপ নন্দী, যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায় সহ অন্যান্যরা।

আর সেইখানে উপস্থিত হয়ে একদিকে যেমন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ শানালেন তিনি, ঠিক তেমনি বাংলাদেশ থেকে আসা এই রাজ্যের বসবাসকারীদের সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন। এদিনের এই সভায় উপস্থিত হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমরা এখানে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছেন। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে।” কিন্তু এইভাবে কোনো জনপ্রতিনিধি কোনো নাগরিকের সম্পর্কে এইরূপ বিতর্কিত মন্তব্য আদৌ করতে পারেন কি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিনের সভায় বাংলাদেশী হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বর্তমান দেশের কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করেছে বলেও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “সংসদে মোদীজি বাংলাদেশী হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবার জন্য বিল আনলেও তার বিরোধিতা করেছে সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে যখন এরা ভোট চাইতে আসবে তখন তাদের কলারটা চেপে ধরে জিজ্ঞাসা করবেন যে, কেন তারা এর বিরোধিতা করেছিলেন?”

এদিকে এদিনের এই সভায় বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের ব্যাপক সন্ত্রাসের কথা তুলে বিজেপি যে তার কাছে মাথা নত করবে না এদিন তাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি কেন্দ্রর পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হলেও রাজ্য নিজের নাম দিয়ে সেই প্রকল্প চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র সরকার গরিব মানুষদের জন্য শৌচালয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা দিচ্ছে। কিন্তু সেই টাকায় ভাগ বসাচ্ছে দিদির ভাইয়েরা। মুড়ি মুরকির মত দিদির রাজত্ব শুরু হয়েছে। মদ খেয়ে মরলে দু’লাখ, কৃষক মরলে দু’লাখ, আর মহিলাদের ইজ্জত-সম্ভ্রম গেলে 30 থেকে 40 হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে সম্প্রতি আইনি জটিলতার জেরে বিজেপির এই রাজ্যে গণতন্ত্র বাঁচাও নামক রথযাত্রার কর্মসূচি আটকে যাওয়া প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এই রাজ্যের অব্যাবস্থা নিয়েই গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাতেই ওরা ভয় পেয়ে আমাদের রথযাত্রা বন্ধ করতে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু এই রথযাত্রা হবেই। গায়ের জোরে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।”

পঞ্চায়েত ভোটের মতো আগামী লোকসভা ভোট যে হবে না এদিন সেই কথা উল্লেখ করেও রাজ্যের শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “লোকসভা ভোট টা দাদারা করবে। আর দিদিরা গ্যালারিতে বসে দেখবে যে কি রেজাল্ট হয়! তৃণমূলের নেতাকর্মীরা লোকসভা ভোটে ভুলেও ভোটকেন্দ্রের ধারে কাছে যাবেন না। গেলে হাড় গুড়ো হয়ে যাবে। পিঠের দাগ মেলাবে না।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে ঠিক এইভাবেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের রাজনৈতিক সুর চওড়া করে অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করছে বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!