প্রশাসনের বিরুদ্ধে টুইট করে আবারও নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য June 8, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতময় পরিস্থিতি থাকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ হেনেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এবং এই নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের বিরোধিতা অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে বারবার কটাক্ষ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মুখ হিসেবে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য আজকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের নতুন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদীকে। এবং হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদীর সাক্ষাতের পরেও রাজ্যপাল যে মোটেই খুশি হননি তা তাঁর টুইটের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। রাজ্যপাল পরপর দুটি টুইট করেন, যেখানে তিনি জানান রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তিনি ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যসচিব যেহেতু সদ্যই দায়িত্বে এসেছেন তাই এ ব্যাপারে তিনি বিশেষ কিছু এখনও জানাতে পারেননি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্যপাল তাঁকে সম্পূর্ণ আপডেট সহকারে তাঁকে রিপোর্ট করার কথা বলেছেন। পাশাপাশি রাজ্যপাল প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন এদিন। তাঁর কথা অনুযায়ী ভোট পরবর্তী হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল তা নেওয়া হয়নি। এবং এ ব্যাপারে মুখ্য সচিব তাঁর প্রশ্নের সেভাবে উত্তর দিতে পারেননি বলে জানান রাজ্যপাল। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বরাবরই সরব রাজ্যপাল। এর আগে রাজ্যপাল ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত খোঁজখবর নেওয়ার জন্য নন্দীগ্রাম থেকে শীতলকুচি ঘুরেছেন। তবে সেক্ষেত্রেও বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কারণ রাজ্যপালের পাশে সব সময় দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের নেতাকে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সে সময়ে ব্যাপক কটাক্ষ করে রাজ্য তৃণমূল। আজকে মুখ্যসচিবকে পাঠালেও রাজ্যপাল যে রিপোর্ট অনুযায়ী মোটেই খুশি হননি সে কথা স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপালের এহেন পদক্ষেপ নতুন করে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে চলেছে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধিতাও যে চরমে উঠবে তা খুব স্বাভাবিক। পাশাপাশি নতুন করে আবারও রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -