এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘বাধার’ মধ্যেই হারাতে হল সংগঠন বিস্তারের বড়সড় ‘রসদ’, তীব্র ক্ষোভ গেরুয়া শিবিরের অন্দরে

রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘বাধার’ মধ্যেই হারাতে হল সংগঠন বিস্তারের বড়সড় ‘রসদ’, তীব্র ক্ষোভ গেরুয়া শিবিরের অন্দরে


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলাকে পাখির চোখ করা বিজেপি নেতৃত্ব এরাজ্যে নিজেদের দলীয় সংগঠনকে বৃদ্ধি করতে একের পর এক কর্মসূচি নিলেও – তা ভেস্তে দিয়ে এই বাংলা যে তাদের দখলেই আছে তা প্রমাণ করতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। সম্প্রতি এরাজ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে গণতন্ত্র বাঁচাও নামক রথযাত্রার কর্মসূচির আয়োজন করলেও আইনি জটিলতার জেরে তা আটকে ছিল দীর্ঘদিন।

অবশেষে দীর্ঘ আইনি যুদ্ধের পর গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মিলেছিল স্বস্তি – কিন্তু, রাজ্য সরকার পুনরায় এই নিয়ে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, বিজেপির এই রথযাত্রা হবে কিনা সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে যদি এই ব্যাপারে কোনো আশানুরূপ ফলাফল না আসে, তবে এই রথযাত্রাকে নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

ফলে, আপাতত কার্যত বিশবাঁও জলে বিজেপির এই রথযাত্রা বা গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচি। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের রথযাত্রা পন্ড হওয়ার জন্য এখন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দোষারোপ করতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির। তবে, এর মাঝেই বড় ধাক্কা বঙ্গ বিজেপির – রথযাত্রা নিয়ে টালবাহানার জেরে, রাজ্যের নীচুতলায় দলীয় সংগঠনকে বিস্তৃত করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা আড়াইশোটিরও বেশি মোটরবাইক ফিরিয়ে দিতে হলো রাজ্য বিজেপিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পার্টির হোল টাইমারদের বিস্তারক হিসেবে নিয়োগ করে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় আড়াইশোটির বেশি মোটরবাইক এই রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। কেননা এই মোটরবাইকে চড়েই দলের নীচুতলার সংগঠন বাড়ানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল বিস্তারকদের। কিন্তু, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই বাইকগুলির রেজিস্ট্রেশন নম্বর বদলানো না হলে এবার তা ‘সিজ’ করে দিতে পারে প্রশাসন। আর তাই, আইনি জটিলতা কাটাতে এবার তা উত্তরপ্রদেশেই ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হল রাজ্য বিজেপি।

সূত্রের খবর, দীর্ঘ এক বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেটের এই বাইকগুলো কলকাতার এক গোপন ডেরায় রাখা হয়েছিল। আর এই বাইকগুলি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের কাছে অনুমতি চাইলেও রাজ্য তা নিয়ে কোনো কর্ণপাতই করেনি বলে অভিযোগ বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের প্রত্যাশা ছিল – এই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পরিবর্তন হলেই, তা গ্রাম বাংলায় দলীয় কর্মীদের জন্য পাঠিয়ে, সংগঠন বিস্তারের কাজে ব্যবহার করা হবে। এদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রবল তোপ দাগেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।

এদিন তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের বাধা দিচ্ছে শাসকদল ও তার পেটোয়া প্রশাসন। জেলায় জেলায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এক বছরের বেশি সময় ধরে উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট বদলের আবেদন পত্র পরিবহণ দপ্তরের পড়ে থাকলেও সরকার এই ব্যাপারে কোনো রকম অনুমতি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সেই বাইক গুলো উত্তরপ্রদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি”। তবে, দলীয় সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের পাঠানো বাইকগুলো সেখানে ফেরত পাঠালেও বিস্তারকদের দলীয় সংগঠন বাড়ানোর কাজে যাতে কোনো অসুবিধে না হয় সেই জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে বেশকিছু বাইক কিনে দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!