এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ”শক্ত হাতে তার মোকাবিলা হবে।” রথযাত্রা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পার্থ চ্যাটার্জী

”শক্ত হাতে তার মোকাবিলা হবে।” রথযাত্রা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পার্থ চ্যাটার্জী


রথযাত্রা প্রসঙ্গে ফের সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আগেও বহুবার বিভিন্ন জনসভা থেকে বিজেপি প্রস্তাবিত রথযাত্রার বিরুদ্ধে যে ধরণের মন্তব্য করেছিলেন,সেটা একইধরণে কথার পুনরাবৃত্তি শোনা গেল এদিনও। হাইকোর্ট রথযাত্রাকে অনুমতি দিলেও বিজেপি প্রস্তাবিত কর্মসূচি সম্পর্কে ধারণা পাল্টালো না তাঁর। শাণিত ভাষায় বললেন,রথযাত্রা কর্মসূচির নামে রাজ্যে বিভেদের রাজনীতি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে চায় বিজেপি। আর বিজেপির সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এক ধাপ এগিয়ে দিল হাইকোর্ট।

এ প্রসঙ্গে গর্জে উঠে বললেন,”কে এল,কে গেল তাতে আমাদের কী? আমাদের একটাই লক্ষ্য আমাদের যে উন্নয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন যে কেউ তা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে শক্ত হাতে তার মোকাবিলা হবে।” আরো বললেন,বিজেপির একটাই লক্ষ্য থাকে সবসময়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটনো। সেটাই করে এসেছে এতোদিন ধরে এবং আগামীতে সেটাই করবে।

এর পাশাপাশি ভাষা প্রয়োগ নিয়েও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বদের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন,”এদের ভাষা কী? এদের যা ভাষা কোনও সভ্য সমাজে বলা যায় না।” এরপর বিক্ষিপ্ত হিংসা হতে পারে আশঙ্কা করছেন এরকম প্রশ্ন করা হলে,তিনি জানান বিজেপি সবসময়ই হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে৷ বিক্ষিপ্তভাবে সেই ইঙ্গিতই দেয় সবসময়। রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়েও এরকম হিংসার রাজনীতি করবে না,এমনটা বলা যায় না। হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়ার পর একথাই জানালেন তৃণমূলের এই প্রভাবশালী নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এ ব্যাপারে বক্তব্য পাওয়া গিয়েছে তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়েরও। তিনি সাফ কথায় বললেন,রামমন্দির নির্মান ইস্যুকে হাইলাইট করেই রথযাত্রা কর্মসূচি করার প্ল্যান বিজেপির। যে দলের অ্যাজেন্ডাতে জনস্বার্থমুখী কর্মসূচির বদলে কেবল রামমন্দির তৈরির কথা বলা হয়,তারা সে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে সেটাই পরিষ্কার বোঝা যায়। আর হাইকোর্ট প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল তাকে।

জানালেন,’হাইকোর্টের উপর আমার কিছু বলার নেই। আমাদের আপত্তি ছিল।’ প্রসঙ্গে জানালেন,বিজেপি যে রথযাত্রা কর্মসূচি পালনকে সামনে রেখে রাজ্যে অশান্তি পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে,বিভেদের রাজনীতি করবে এটা হাইকোর্ট বিচার করেও বিজেপির পক্ষ নিয়েছে। তাই রায়ের পর এখন এ ব্যাপারে মন্তব্য করার মানে খুঁজে পেলেন না তিনি।

এরপর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে,তিনি জানান সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। রথযাত্রা আসলে রাজনৈতিক স্বার্থেই করা হচ্ছে। তাই গন্ডোগোল হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক।রাজ্যসরকারকে যথেষ্ট পুলিশ দিতে হবে। তাছাড়া গঙ্গাসাগরে এমনিতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। তারা যাতে নির্বিঘ্নে তীর্থ করতে পারেন সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত,বিশেষ কিছু শর্তের উপর ভিত্তি করে বিজেপি প্রস্তাবিত রথযাত্রার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যসরকারের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেছে,রথযাত্রা কর্মসূচি পালনের জন্যে বিজেপিকে সহযোগী মানসিকতা রাখতে হবে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজন হলে রথযাত্রা কর্মসূচির সময় যথার্থ পুলিশের বন্দোবস্ত রাজ্যসরকারকেই করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওদিকে বিজেপিকে শান্তিপূর্ণভাবে ট্রাফিক আইন মেনে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এছাড়া রথযাত্রা কর্মসূচি চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই আবেদনকারী এবং রাজ্যসরকার সমান দোষের ভাগীদার হবে,এমনটাই সাফ রায়ে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!