এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সাধারণের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট! অস্বস্তিতে শাসকদল!

সাধারণের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট! অস্বস্তিতে শাসকদল!


ভয়াবহ মারণ রোগ করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এখন চেষ্টা করছেন সকলেই। ভারত তথা রাজ্যকে এই ভয়াবহ রোগের করালগ্রাস থেকে মুক্ত করতে রাজনীতিকে দূরে রেখে একে অপরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীদের। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামো তৈরির জন্য সহযোগিতা করতে দেখা গেছে বিরোধী দল বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের।

থেকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা সাহায্য করলেও তারা কখনও নিজেদের দলের প্রতীক দিয়ে বা নিজেদের ছবি দিয়ে তা প্রচার করেননি। অর্থাৎ সকলেই চাইছেন, এই সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।তাদের মতে রাজনীতি করার সময় এখন নয়, তাই সব দলকে একসাথে জোটে বেঁধে এই করোনা মোকাবিলায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকতে হবে , আর তারা সেটাই করবেন, রাজনীতি পরেই করা যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ছবি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ব্যবহার করে চাল, আলু এবং ডালের প্যাকেট মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এই পদ্ধতি নিয়েই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অনেকে। নিঃসন্দেহে বিপদের দিনে সাধারণ মানুষকে কোনো একজন নেতা বা নেত্রী সাহায্য করবেন এবং তার প্রতি সাধারণ মানুষ ভরসা রাখবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করতে গিয়ে যেভাবে নিজের নাম ছবি এবং দলের নাম ব্যবহার করলেন অর্পিতা ঘোষ, তাতে নিন্দার ঝড় বইছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারে অনেক মানুষ পোস্ট করে তাদের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন, “এই সময় রাজনীতি কি না করলেই নয়।” অনেকে আবার এটাও বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ভালো কাজ করছেন। কিন্তু বিপদের দিনে নিজেকে জাহির করতে গিয়ে সেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামকে ডোবাচ্ছেন অনেকেই!” বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সত্যিই তো তাই!

ফেসবুক থেকে নেওয়া

এই সময়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করাই বড় ব্যাপার। কিন্তু তা করতে গিয়ে যেভাবে অর্পিতাদেবীর মত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ নিজের ছবি এবং দলের নাম ব্যবহার করে পরোক্ষে প্রচার করলেন, তা সত্যিই দৃষ্টিকটু ব্যাপার বলেই দাবি সমালোচকদের। অনেকে আবার এটাও বলছেন, করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার ঘোর বিরোধীরাও তার প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দরাজহস্ত মনোভাব পরবর্তী নির্বাচনের সময়ে মানুষ এমনিতেই মনে রাখত। কিন্তু এবার দল, নিজের নাম ও ছবি দিয়ে যেভাবে প্রচার করলেন অর্পিতা ঘোষ, তাতে মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে নতুন করে ক্ষোভ বাসা বাঁধল বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

ফেসবুক থেকে নেওয়া

এখানেই শেষ নয়, আর একটি ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। অনেক জায়গায় হ্যান্ড সেনেটারাইজার এর গায়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বহু ছবি দেখা যাচ্ছে , যা ঘিরেই তৃণমূল নেতা নেত্রীদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ? এদিকে মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন এটা রাজনীতি করার সময় নয়, তার পরেও তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের এ হেনো আচরণে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঠছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!