ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ‘থরহরিকম্প’ তৃণমূল নেত্রী এখন আর ‘উন্নয়ন থমকে যাওয়া’ দেখতে পাচ্ছেন না! নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 31, 2019 সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর মনের আশ ছিল বাংলায় বিজেপিকে গোল্লা দিয়ে নিজে ৪২ এ ৪২ করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু, বাংলার জনাদেশ দিনের শেষে তৃণমূল নেত্রীকে উপহার দিয়েছে ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’! ৪২ এ ৪২ করা তো দূরে থাক বাংলা থেকে ১৮ টি আসন জিতে নিয়ে বিজেপি এখন তৃণমূলের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে! মুকুল রায়ের মত বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, এস ছ মাসের মধ্যে নাকি তৃণমূল দলটার অস্তিত্বই থাকবে না! আর করবেন নাই বা কেন? বাংলায় বিজেপির এই ফলাফল দেখে তৃণমূল তো বটেই অন্যান্য দলের বিধায়ক-কাউন্সিলর-নেতাদের রীতিমত লাইন লেগে গেছে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার। যার ফলশ্রুতি হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের গড় হিসাবে খ্যাত উত্তর ২৪ পরগনার চার-চারটি পুরসভা হাতছাড়া হয়েছে শাসকদলের। আর এগুলির মধ্যে অন্যতম নৈহাটী পুরসভা – এই পুরসভার ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৯ জনই যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে এই পুরসভা একদা তৃণমূলের থাকলেও, এখন তা গেরুয়া শিবিরের দখলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই, আজ দলবদলকারী কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৮ জন আজ অনাস্থা এনে জমা করেছেন জেলাশাসকের কাছে। সেই অনাস্থা গ্রহণ করা হলেও, সেখানে নিশিচত পরাজয় জেনে অনাস্থা ভোট করাতে রাজি নয় শাসকদল। ফলে, রাজ্যের নগোরন্নয়ন দফতরের সিদ্ধান্ত, আপাতত প্রশাসক বসিয়েই কাজ হবে নৈহাটিতে, পরে অনাস্থা ভোট হবে। আজই নবান্নের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়ে যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর শাসকদলের এই পদক্ষেপে রীতিমত হাসির রোল উঠেছে গেরুয়া শিবিরে! গেরুয়া শিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাস্তায় উন্নয়ন বাহিনী দাঁড় করিয়ে রেখে রাজ্যের গণতন্ত্র হরণ করেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে, তখন তৃণমূল নেত্রী আওয়াজ তুলেছিলেন যে বিরোধীরা মামলা করে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিচ্ছে। কেননা মামলার ফলে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বহুলাংশে তখন প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু, এখন নিশ্চিত হারের ভয়ে ‘থরহরিকম্প’ হয়ে একের পর এক পুরসভায় ভোট করাচ্ছেন না, অনাস্থা ভোট করতে দিচ্ছেন না তৃণমূল নেত্রী! হারের ভয়েই কি উন্নয়ন শিকেয় তুলে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী – প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের। আপনার মতামত জানান -