বর্ধমানে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত! গুজব ‘মোদী দিচ্ছে’ – পিছনের সত্যিটা কি? রাজ্য January 16, 2019 কেন্দ্রীয় সরকারের ফসল বিমার আওতায় থাকা চাষীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা নিয়ে অযথা বিভ্রান্তির কোনো জায়গা নেই বলেই জানিয়ে দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। কারণ এগ্রিকালচার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড চাষীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে। ২০১৭ সালের আর্থিক বছরে আমন চাষের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিগত পাঁচ বছরের গড় উৎপাদনের নিরিখে ওই বছর আমন ধান চাষের উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল না। তাই ক্ষতির হাত থেকে চাষীদের বাঁচাতে ফসল বিমাী আওতায় থাকা চাষীদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে এগ্রিকালচার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। তাই এনিয়ে অযথা গুজবের কোনো জায়গা নেই। এমনটাই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা কৃষি অধিকর্তার সূত্র থেকে আরো জানা গিয়েছে,ইতিমধ্যেই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে জেলা প্রশাসনের দপ্তরে ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া চাষীদের তালিকা এসে পৌছেছে। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরে। এইসব চাষীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ায় তার জন্যে জেলা কৃষি দপ্তর থেকে ১৩ টি ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তাদের কাছে ফসল বিমা যোজনার আওতায় থাকা চাষীদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে যেকোনো ধরণে গুজব রুখতে বাড়তি সচেতনতা জারি করে জেলার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখায় ফসল বিমা যোজনার ফ্লেক্স টাঙানো হচ্ছে। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত কোনো গুজব কানে এলেই কৃষিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চাষীদের। এ প্রসঙ্গে কাটোয়ার মহাকুমা শাসক সৌমেন পাল বললেন,ফসল বিমা যোজনার আওতার বাইরে থাকা কিছু চাষীর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা ঢুকেছে বলে কানাঘুষো শোনা গিয়েছে। সেইসব চাষীদেরকে খুঁজে বের করার কন্যে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি বিমা যোজনার আওতাভুক্ত চাষীরা ঠিকঠাক বিমার টাকা পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন তিনি। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতার, বর্ধমান-১, গলসি-২, কালনা-১, কাটোয়া-১ ও ২ ব্লক, কেতুগ্রাম-১ ও ২ ব্লক, খণ্ডঘোষ, মেমারি-২, মঙ্গলকোট ও রায়না-১ ও ২ ব্লকে ৭ হাজার ৪৪১জন চাষির অ্যাকাউন্টে ৪কোটি ১৭হাজার ৯৭৮টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৬-’১৭ সালে খরিফ মরশুমের জন্য যাঁরা শস্য বিমার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন,সেইসব চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। এছাড়া,কেতুগ্রাম-১ ব্লকের নবগ্রাম পঞ্চায়েতের শিবলুন এবং তরালসেন পাড়ায় স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় এবং ইউকো ব্যাঙ্কের গঙ্গাটিকুরি শাখায় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ১০হাজার, ২০হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঢুকেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে গত কয়েকদিন ধরে এ ব্যাপারে ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা সঠিক তথ্য দিতে না পারায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। দলে দলে গ্রাহকরা পাশবই আপডেট করাতে ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দিলে ব্যাঙ্ককর্মীদের কর্মব্যস্ততা দ্বিগুন বেড়ে যায়। নোটবন্দির সময় যেমন ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে ভীড় ছিল সেরকমই ভীড় উপচে পড়ে ওইসব ব্যাঙ্ক শাখার সামনে। তবে এবার অস্বস্তির পরিবর্তে উৎকন্ঠা ছিল৷ কারণ এতো ভুরি ভুরি টাকা কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে গ্রামবাসীদের মধ্যে। সূত্রের খবর,গত ১১ জানুয়ারি থেকে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করে। শিবলুন গ্রামের বাসিন্দা হরিহর হাটুইয়ের অ্যাকাউন্টে ২০হাজার টাকা, তাঁর স্রীুন মহারানি হাটুইয়ের অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা, তরালসেন পাড়ার সাবু দাসের অ্যাকাউন্টে ১০হাজার টাকা ঢুকেছে। হেমন্ত মাঝির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। হঠাৎ করে এতো ধনপ্রাপ্তিতে রীতিমতো হকচকিয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। এ প্রসঙ্গে, ইউকো ব্যাঙ্কের গঙ্গাটিকুরি শাখার ম্যানেজার ধর্মরাজ মণ্ডল বলেন,তাঁদের শাখায় ১৩০ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা ঢুকেছে। তবে এবার ফসল বিমা যোজনার আওতার বাইরে থাকা মানুষের অ্যাকাউন্টে যাতে কোনোভাবেই এই বিমার টাকা না ঢুকতে পারে তার জন্যে এবার সচেতনতা বাড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। আপনার মতামত জানান -