এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার নাইসেডের কিট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের! জোর চাঞ্চল্য!

এবার নাইসেডের কিট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের! জোর চাঞ্চল্য!

 

করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল সকলকে। কিন্তু যতদিন এগিয়েছে, ততই বেড়েছে বিড়ম্বনা। বিরোধীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাজ্য সরকার ঠিকমত টেস্ট করাচ্ছে না। অন্যদিকে নাইসেডের অধিকর্তার তরফেও রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত কিট দেওয়া সত্ত্বেও কেন রাজ্য টেস্ট করাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত।

আর এমন একটা পরিস্থিতিতে যখন এই করোনার পরীক্ষা নিয়ে টালমাটাল বাংলা, ঠিক তখনই নাইসেডের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাইসেড যে কিটগুলো তাদের সরবরাহ করেছে, তা ত্রুটিপূর্ণ।

দুই সপ্তাহ আগে ওই টেস্ট কিটগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে অমীমাংসিত ফল আসতে শুরু করেছে। সেই কারণে ফাইনাল টেস্ট রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। আর এই ব্যাপারে অবিলম্বে যাতে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যের সমস্যা মিটে যায়, তার জন্য আইসিএমআরকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য। আর নাইসেডের টেস্ট কিটের বিরুদ্ধে রাজ্যের এই অভিযোগ নিয়ে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

একাংশের প্রশ্ন, তাহলে এতদিন নাইসেডের অধিকর্তা রাজ্যকে টেস্ট কিট যাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য কাজ করছে না বলে যে অভিযোগ করেছিলেন, তা কি সারবত্তা হীন হয়ে গেল! তাহলে কি তাদের কিটে বিভ্রান্তি রয়েছে! এদিন এই প্রসঙ্গে নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত বলেন, “এক্ষেত্রে সমস্যার বিষয়টি আইসিএমআরও জানে। গোড়ার দিকে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পুনে যে কাজটা করেছিল, এখন টেস্ট কিটের চাহিদা বাড়ায় তা তাদের পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছে না। এই টেস্টগুলো দিয়ে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার আগে সেগুলো স্ট্যান্ডার্ডাইজড করতে হত। আমেরিকা থেকে আমদানি করা হয়েছিল। তারপর সেই প্রাইমার ও প্রোবগুলির সঙ্গে রিএজেন্ট সংযোজিত করে তা স্ট্যান্ডার্ডাইজড করেছিল পুনের সংস্থা। তারপর তা সরবরাহ করা হয়েছিল। এখন টেস্ট কিটের চাহিদা বাড়ায় সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজ্যের এই অভিযোগ কিছুটা স্বীকার করে নিয়েও এদিন রাজ্যের ঘাড়েই দোষ দিয়েছেন নাইসেডের এক কর্তা। তিনি বলেন, “নাইসেডে সাড়ে সাত হাজার টেস্ট কিট এসে পড়ে রয়েছে। তারপরেও নমুনা পর্যাপ্ত হারে পাঠানো হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের মেডিকেল কলেজ কিটস স্ট্যান্ডার্ডাইটজ করতে পারছে না। সেই অভিজ্ঞতা তাদের নেই। নাইসেডের সেটা রয়েছে। নমুনা নাইসেডে পাঠালে হয়ত এতটা সমস্যা হত না।” আর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এই অভিযোগ এবং তার পাল্টা নাইসেডের পক্ষ থেকে বক্তব্য নিয়ে এখন রীতিমত তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে।

অনেকেরই প্রশ্ন, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর অভিযোগ করছে যে, কীটগুলো ত্রুটিপূর্ণ নয়। তাহলে এর জন্য দায়ী নাইসেড এবং আইসিএমআর। ফলে সেক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে নাইসেডের পক্ষ থেকে যে কথা বলা হচ্ছে যে, রাজ্য যদি তাদের কাছে নমুনা পাঠাত, তাহলে তা অতিদ্রুত সমাধান করে দেওয়া যেত। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র অভিযোগ করেই কেন থেমে থাকা হল! কেন তা নাইসেডে পাঠান হল না! তা নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞদের মনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!