এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিজেপিতে আটকাতে কংগ্রেস তুমি কার? ঠান্ডা লড়াই কী শুরু বামফ্রন্ট- তৃণমূলে?

বিজেপিতে আটকাতে কংগ্রেস তুমি কার? ঠান্ডা লড়াই কী শুরু বামফ্রন্ট- তৃণমূলে?

রাজনীতির অংক বড়ই কঠিন। কখন কার পালে ঠিক কোন হাওয়া থাকবে তা বলতে পারে না কোনো সমীক্ষাই। আর তাইতো লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ঠিক কোন রাজনৈতিক সমীকরণ হতে যাচ্ছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপিকে সরাতে প্রদেশ কংগ্রেসের সাথে জোটের বার্তা দিয়েছে সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড। তবে বাংলা সিপিএম নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেসের সাথে জোট করে এগোতে চাইলেও সেই রাস্তায় হাঁটতে নারাজ বাম শরিক দলগুলো।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল থেকেই বাঁকুড়ায় শুরু হয়েছে বামেদের অন্যতম শরিক দল আরএসপির রাজ্য সম্মেলন। আর তারই আগে এদিন রাজ্যের লোকসভা ভোটে জোট নিয়ে মুখ খুললো আরএসপি। এতে ইন এ প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী বলেন, “বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই দলের সঙ্গেই আমরা সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি নিয়ে চলছি। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে আমাদের কি দশা হয়েছিল তা সকলেরই জানা। তাই ভবিষ্যতে কি হবে তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”

অন্য দিকে বামেদের বড় শরিক সিপিএম যদি জোর করে কংগ্রেসের সাথে জোট করে তাদের ওপর তা চাপিয়ে দেয় তাহলে আগামী দিনে ফ্রন্টে আদৌ থাকা যাবে কিনা সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এই আরএসপিরই প্রবীণ নেতা তথা বর্তমান বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী। তবে শুধু আরএসপি নয়, সিপিএমের সাথে কংগ্রেসের এই মেলামেশাটাকে ভালো চোখে দেখছে না শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকও।

এদিন এ প্রসঙ্গে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জোট নিয়ে দলে কোনো আলোচনা হয়নি।” তবে সিপিএম নেতৃত্ব যেভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরার পক্ষে সওয়াল করছেন তাতে তীব্র বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এরকম হলে ফরওয়ার্ড ব্লকও সিপিএমের সাথে থাকবে না বলে এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক আল ইমরান রামজ।

এদিকে দলের শরিকদের এহেন বিদ্রোহে এদিন মুখ খুলেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। কেরলের উদাহরণকে টেনে এদিন তিনি বলেন, “কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তো সকলেই দেখেছে। আশা করি ফ্রন্টের বৈঠকে আলোচনা করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।”

এদিকে বঙ্গ সিপিএমের এহেন প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসও। তবে সেখানেও ফুটতে শুরু করেছে মালদহের গনি পরিবারের কাঁটা। সিপিএম নয়, রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতে তৃণমূলের সঙ্গেই প্রথম থেকে সমঝোতা করার পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন মালদহ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর।

তবে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর মতো মৌসমের এহেন মতকে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। ইন তিনি বলেন, “ওটা সম্পূর্ণ ওর ব্যক্তিগত মত। কংগ্রেস একটা জাতীয় দল। তাই কার সঙ্গে জোট হবে সেটা হাইকমান্ডই চূড়ান্ত করবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই। কংগ্রেসের সাথে তৃণমূল? নাকি বামেদের সাথে কংগ্রেস? বিজেপিকে সরাতে কে কার হাত ধরে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!